টোকিও অলিম্পিক স্থগিতের ভাবনায় আয়োজকরা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে টোকিও অলিম্পিক পেছানোর দাবি ক্রমেই জোরালো হতে শুরু করেছে। এতদিন স্থগিতের বিষয়টি আমলে না নিলেও অবশেষে আয়োজক কর্তৃপক্ষের টনক নড়তে শুরু করেছে। নির্ধারিত সূচিতে অলিম্পিক আয়োজনের পরিবর্তে বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে তারা, এমন দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
tokyo olympic
ছবি: এএফপি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে টোকিও অলিম্পিক পেছানোর দাবি ক্রমেই জোরালো হতে শুরু করেছে। এতদিন স্থগিতের বিষয়টি আমলে না নিলেও অবশেষে আয়োজক কর্তৃপক্ষের টনক নড়তে শুরু করেছে। নির্ধারিত সূচিতে অলিম্পিক আয়োজনের পরিবর্তে বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে তারা, এমন দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।

করোনাভাইরাস মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও কদিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, পরিকল্পনা অনুসারে ঠিক সময়েই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত টোকিও শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম রয়টার্সের দুটি সূত্রের বরাতে রোববার দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করার ভাবনা বিবেচনায় নিয়েছে আয়োজকরা।

রয়টার্সের দুটি সূত্রই আয়োজক কমিটির খুব ঘনিষ্ঠ। তবে তারা নিজেদের নাম প্রকাশে রাজি হয়নি। প্রথম সূত্রটি বলেছে, ‘অবশেষে, (অলিম্পিক) পিছিয়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াতে পারে, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে বলা হয়েছে।’

‘আমরা বিকল্প পরিকল্পনা করতে শুরু করেছি- বি, সি, ডি ইত্যাদি নানা পরিকল্পনা, যা অলিম্পিক কতদিন পেছাবে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

আরেকটি সূত্র বলেছে, অলিম্পিক স্থগিতের বিষয়ে আয়োজক কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। এমনকি আয়োজন এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, কদিন আগে দর্শক উপস্থিতি ছাড়াই অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়। সেই মশাল জাপানে পৌঁছেছে গেল শুক্রবার। আর তা প্রদর্শন করা হচ্ছে টোকিওর মিয়াইগিতে। গতকাল শনিবার অলিম্পিক মশাল দেখতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা উপেক্ষা করে সেখানে হাজির হয় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ!

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দর্শনার্থীদের অনেকে ৫০০ মিটার দীর্ঘ সারিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অপেক্ষা করেছে। অথচ জাপানেও পড়েছে করোনার ভয়াল থাবা। এ পর্যন্ত, দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৪ জন, মারা গেছে ৩৬ জন।

Comments

The Daily Star  | English
Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

10h ago