গাইবান্ধার সাদুল্লাপু্র ‘লকডাউন’ করা হয়নি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন করার প্রস্তাবের একটি চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান ইউএনও মো. নবীনেওয়াজের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে উপজেলা লকডাউনের প্রস্তাব দিয়ে একটি চিঠি পাঠান। জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ও সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আবদুল মতিন বলেন, ‘চিঠির কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমরা চিঠিটি দেখেছি। এটি যে পাঠিয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রোববার দুপুরে মো. নবীনেওয়াজের সই করা ওই চিঠি গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি সিভিল সার্জন ও সুপার সুপারকেও দেওয়া হয়। চিঠির অনুলিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কিছু বেসরকারি টিভি চ্যানেল খবরটি প্রচার করে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১১ মার্চ সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাহপুর গ্রামের কাজল মন্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অংশ নেয়। ওই অনুষ্ঠানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ ছিল। গতকাল শনিবার গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া অনেকেই ভোট দিয়েছেন। এ অবস্থায় ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আজ রোববার সাদুল্যাপুর উপজেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ ডেইলি স্টারকে জানান, সচেতনতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপজেলা লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছি। লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল ডিসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।
ডিসি আবদুল মতিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা লকডাউন করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
বর্তমানে এ উপজেলায় পাঁচ পরিবারের সদস্যকে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Comments