করোনা আক্রান্ত দেশের পাশে চীন: ৫ দেশে চিকিৎসক দল

করোনাভাইরাস মহামারির পর বিশ্বব্যাপী নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি সম্প্রসারণ করতে উন্নত দেশ ইতালি ও স্পেন থেকে শুরু করে স্বল্পোন্নত মিশর, ইরান ও সার্বিয়ার মতো দেশে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে চীন।
China
ইতালির রোমে পৌঁছে রেড ক্রসের প্রধানের সঙ্গে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস মহামারির পর বিশ্বব্যাপী নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি সম্প্রসারণ করতে উন্নত দেশ ইতালি ও স্পেন থেকে শুরু করে স্বল্পোন্নত মিশর, ইরান ও সার্বিয়ার মতো দেশে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে চীন।

চীনে করোনাভাইরাসের কারণে একদিকে যেমন মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৭০ জনের, তেমনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি। সফলভাবে ভাইরাসটির প্রকোপ সামলে উঠে এখন চীন বিভিন্ন দেশকে মেডিকেল সদস্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে।

প্রায় দুই মাস অবরুদ্ধ রেখে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এই ভাইরাস ইউরোপ-আমেরিকাসহ ছড়িয়েছে সারা বিশ্বেই। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীন এখন নিজেকে বসাতে চাচ্ছে চালকের আসনে।

সার্স মোকাবেলার সময় তথ্য গোপন করে পুরো পৃথিবীকেই বিপদে ফেলে দিয়েছিল চীন। ফলাফল হিসেবে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছে বিশ্ববাসী।

২০০৩ সালে বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে চীন সার্স নিয়ে তাদের ভুল স্বীকার করেছিল। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বেইজিংয়ের মেয়রকে। এরপরই ফ্রান্সের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। এক সপ্তাহ পরই চীনের রাষ্ট্রপতি দেখা করেছিলেন বিশ্বের ক্ষমতাধর আট দেশের ‘গ্রুপ এইট’-এর সদস্যদের সঙ্গে।

এমন বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে খুব দ্রুতই তৎকালীন বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি সার্স লুকানোর দুর্নাম কাটিয়ে ওঠে।

বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ শি ইয়িনহংয়ের মতে, চাপে আছে চীনের অর্থনীতি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘চীন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে উত্তরণ পেয়ে যদি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে না পারে তাহলে ব্যাপারটা হবে এমন যে, জিতেও যুদ্ধে হেরে গেল।’

বেইজিংয়ের বেহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক টিয়ান ফিলং বলেন, ‘মহামারি রোধে অন্যান্য দেশকে সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে চীনকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এটা হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের থেকে একেবারেই বিপরীত অবস্থান। তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে প্রাদুর্ভাব এড়াতে কাজ করছে। সেখানে চীনের এমন দায়বদ্ধতা ইউরোপ ভালো চোখেই দেখবে এবং স্বাগত জানাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago