করোনার প্রতিষেধক ৪ ওষুধ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র পরীক্ষা

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো বের করা যায়নি। কোনো রোগের ওষুধ আবিষ্কার করতে সাধারণত বিজ্ঞানীদের কয়েক বছর সময় লাগে। কিন্তু, যত দ্রুত সম্ভব মহামারি করোনার ওষুধ আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রতীকী ছবি। (সংগৃহীত)

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো বের করা যায়নি। কোনো রোগের ওষুধ আবিষ্কার করতে সাধারণত বিজ্ঞানীদের কয়েক বছর সময় লাগে। কিন্তু, যত দ্রুত সম্ভব মহামারি করোনার ওষুধ আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে, গত সপ্তাহে চারটি ওষুধ চিহ্নিত করে সেগুলোর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

চারটি ওষুধ হলো— ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ক্লোরোকুইন, এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ এবং লোপিনাভির ও রিটোনাভির প্লাস ইন্টারফেরন বেটার সংমিশ্রণ। তবে, এখন পর্যন্ত কোনোটিই করোনার নির্দিষ্ট প্রতিষেধক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়নি।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা ওষুধগুলোর মধ্যে রেমডেসিভির নিয়ে বড় পরিসরে পাঁচটি ল্যাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে। এর মধ্যে এপ্রিলের শুরুর দিকে দুটি ল্যাবের ফল পাওয়া যাবে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে যারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে তাদের রেমডেসিভির ওষুধ দেওয়া হয়। তবে, এটির চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকায় এক সপ্তাহের মাথায় নতুন রোগীদের এটি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভাইরাস প্রতিরোধে রেমডেসিভির যথেষ্ট কার্যকর—এমনটিই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা। কিন্তু, ওষুধটি কতটা কার্যকর এবং নিরাপদ কিনা, তার জন্যে এটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইবোলার জন্য প্রথম যখন রেমডেসিভির প্রয়োগ করা শুরু হয়, তখন লিভারে বিষাক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ক্লোরোকুইন মূলত অন্ত্রের বাইরে ঘটছে এমন অ্যামোনিয়ার সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি করোনা প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া, যেহেতু ম্যালেরিয়ার জন্য এটি অনুমোদিত ওষুধ, তাই এটি নিরাপদও।

এইচআইভির জন্য লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ ব্যবহৃত হয়। তবে, সাম্প্রতিক পরীক্ষায় এটি করোনার জন্য তেমন কার্যকর না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া, লোপিনাভির ও রিটোনাভির প্লাস ইন্টারফেরন বেটার সংমিশ্রণও তেমন কার্যকর না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এর পরেও এগুলোর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেভিপিরাবির নামে একটি জাপানি ফ্লু ওষুধ করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছে। চীনে ৩৪০ রোগীর ওপর এ ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা যায়, এটি যথেষ্ট কার্যকর ও নিরাপদ। তবে, ডব্লিউএইচও’র যে চারটি ওষুধ নিয়ে কাজ করছে, সেগুলোর মধ্যে ফেভিপিরাবির নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

9h ago