করোনাভাইরাস নিয়ে ‘উস্কানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ায় ২ শিক্ষক বরখাস্ত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনভিপ্রেত, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ছবি পোস্ট করায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।
Education Ministry
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনভিপ্রেত, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ছবি পোস্ট করায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সে অবস্থায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক তাদের ফেসবুক আইডি থেকে অনভিপ্রেত, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ছবি পোস্ট করেছেন। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা) ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাদের ২৫ মার্চ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু এটি অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে তাই আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করা হবে না। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গফরগাঁও সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি হতভম্ব! কী বলবো? ডাক্তাররা কীভাবে আহাজারি করছেন, কর্মবিরতি করছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমাদের কিছু সরকারি কর্মকর্তারা পিপিই পরে ফেসবুকে পোস্ট আপলোড করছেন। যদিও ডাক্তারের প্রায়োরিটি বেশি হওয়া উচিত। আমি এই বিষয়টির রূপক করে লিখেছিলাম। আমি বলতে চেয়েছি, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আমাদের দায়িত্বহীনতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে। আমরা যেন এ সময় নিজেদের স্বার্থ চিন্তা না করে প্রায়োরিটি বেসিসে কাজ করি। ডাক্তাররা যেহেতু রোগীদের সরাসরি কনটাক্টে যান, তাই তাদের যেন সবার আগে পিপিই দেওয়া হয়। তাদের যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সময় যদি আমরা যাদের পিপিই প্রয়োজন নেই, তারা যদি পিপিই পরে ছবি আপলোড করি তাহলে জাতির কাছে, ডাক্তারদের কাছে ভুল মেসেজ যেতে পারে— এই কথা চিন্তা করে আমি পোস্ট দিয়েছিলাম। আমার পোস্টে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা গালাগালি শুরু করলে, পোস্টটি আমি দুই ঘণ্টার মধ্যে নামিয়ে ফেলি। সরকারকে বিব্রত করার জন্য কিছু বলিনি।’



বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক বলেন, ‘চাকরি বিধি অনুযায়ী আমাকে শোকজ করা হয়েছে। কোনো মন্তব্য করতে পারি না। সারা বাংলাদেশ এখন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছে। এই সময় ডাক্তারদের সবার আগে প্রটেকশন দরকার, সেই সতর্কতার কথা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। শোকজের উত্তর দেবো।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago