সিটি ছাড়তে পারেন ডি ব্রুইন
আগামী দুই মৌসুমের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিষিদ্ধ ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে তারা। সেক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ কিছুটা কমতে পারে বলেই গুঞ্জন জোরালো। তবে যদি না কমে সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ক্লাবটির। বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়কে হারাতে পারে তারা। তার মধ্যে আছেন দলের প্রাণভোমরা কেভিন ডি ব্রুইনও। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামের গণমাধ্যম স্পোর্ত/ফুট।
যদিও সিটির সঙ্গে চুক্তি এখনও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে ডি ব্রুইনের। আগামী ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত থাকার অঙ্গীকার করেই গার্দিওলার দলে যোগ দিয়েছিলেন। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে হাতছাড়া করতে না চাওয়ায় এখনই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইছে ক্লাবটি। এর জন্য সপ্তাহে সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড বেতন দেওয়ার আকর্ষণীয় প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। কিন্তু তাতে মন গলেনি ডি ব্রুইনের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি না পেলে দল ছাড়বেন, তা পরিস্কারভাবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ অনুযায়ী, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় ইতিহাদে থাকা নিয়ে খুবই চিন্তিত ডি ব্রুইন। তবে এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। আপিলের ফলাফল জেনেই সিদ্ধান্ত নিবেন ২৮ বছর বয়সী এ তারকা। তবে তাকে পেতে এর মধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। আর শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে নিঃসন্দেহে তাকে পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলো।
চেলসির সাবেক এ তারকা ২০১৫ সালে উলফবার্গ থেকে সিটিতে যোগ দেন। আর সিটিতে যোগ দেওয়ার থেকেই বদলে যেতে থাকেন তিনি। ক্রমেই বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্লাবের হয়ে দুটি প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও আরও ৫টি ঘরোয়া ট্রফি জিতেছেন তিনি। এ সময়ে ১৪৬টি লিগ ম্যাচে অংশ নিয়ে গোল করেছেন ৩১টি। আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৬২টি গোল।
উল্লেখ্য, ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ করায় দুই বছরের জন্য ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে সিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি আড়াই কোটি পাউন্ড জরিমানাও করা হয় সিটিজেনদের। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্পন্সরশিপ রাজস্ব থেকে আয়কৃত মোট অর্থের সঠিক হিসাব দেয়নি ম্যান সিটি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ অর্থের অঙ্ক ‘বাড়িয়ে’ বলে। পাশাপাশি দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে ‘সহায়তা না করার’ অভিযোগও আনে উয়েফা।
Comments