কুষ্টিয়ায় ‘করোনা সন্দেহে’ শিশুকে আইসোলেশনে
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহে সাত মাস বয়সী এক শিশুকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সে সময় তার জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি ছিল। ওইদিনই পরিবারের সদস্যদের বারবার জিজ্ঞাসা করলেও তারা জানান, তাদের কেউ বিদেশে থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে যাননি। পরে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। আজ তার অবস্থা অবনতির দিকে যায়। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করবে।’
‘তবে, আজ সকালে শিশুটির বাবা গত ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন বলে স্বীকার করেন পরিবারের সদস্যরা। দেশে আসার পর তিনি স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সঙ্গে বাস করছিলেন। এটি শোনর পরেই শিশুটিকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে শিশুটি বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান’, বলেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ‘শিশুটির পরিবারের সব সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজস হলে তাদের বাড়িটিকেও লকডাউন করা হবে। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ শিশুটির বাবাকে খুঁজছে।’
পরিবারটি কুষ্টিয়া শহরে থাকে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কুষ্টিয়রি সিভিল সার্জন আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে যে নার্স ও চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট আছে এবং আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরজ্ঞাম (পিপিই) রয়েছে। শিশুর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করবে।’
Comments