সেতু ভেঙে পড়ে ভোগান্তিতে শতাধিক মানুষ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় একটি লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শতাধিক মানুষ। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গামইরতলা গ্রামে পাখিমারা খালের উপরে ৮৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ভেঙে পড়ে।
Patuakhali_Bridge
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় একটি লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শতাধিক মানুষ। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় একটি লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শতাধিক মানুষ। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গামইরতলা গ্রামে পাখিমারা খালের উপরে ৮৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ভেঙে পড়ে।

নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নীলগঞ্জ, মজিদপুর, কুমিরমারা, বায়নাতলা, আলেমপুর, পূর্ব সোনাতলা ও ফরিদগঞ্জ এবং বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের গামিরাতলা, ঘুটাবাছা, নেয়ামতপুর ও ইসলামপুর গ্রামের মধ্যে যোগাযোগের এখন নৌকাই সহজ মাধ্যম। বিকল্প সেতু ব্যবহার করতে হলে অতিরিক্ত সাত কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে।

গ্রামবাসী জানায়, সেতুটি ভেঙে পড়ায় স্কুল শিক্ষার্থী ও কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চাষিরা তাদের ফসল বিক্রি করতে কলাপাড়া উপজেলা সদরে যেত। গামইরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সেতু ব্যবহার করতো। গতকাল সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে গেলে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রসহ তিন জন আহত হয়। আহত মো. রাসেল (২৫), আসাদুল (৩০) ও ইয়ামিনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণ করেছিল। নীলগঞ্জ গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, এই সেতু পার হয়ে আমরা সবজি বিক্রি করতে কলাপাড়া উপজেলা সদরে যেতাম। নৌকায় সবজি নিয়ে খাল পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা শিগগির সেতুটির মেরামতের দাবি জানাই।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংস্কারের অভাবে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago