করোনা চিকিৎসায় ঢাকায় ১০ আইসিইউ বেড, ঢাকার বাইরে শূন্য

সারাদেশের নিবিড় পরিচর্যা (আইসিইউ) সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য মাত্র ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। যা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা প্রবীণদের চিকিৎসায় উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ICU
ছবি: পলাশ খান

সারাদেশের নিবিড় পরিচর্যা (আইসিইউ) সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য মাত্র ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। যা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা প্রবীণদের চিকিৎসায় উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে ৫০৮টি আইসিইউ বেড এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭৩৭টি আইসিইউ বেড আছে।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালক আমিনুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাজধানীতে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কুয়েত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে মাত্র ১০টি আইসিইউ বেড আছে। তবে, আরও ১৬টি বেড প্রস্তুতের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও আরও কয়েকটি হাসপাতালে ৯০টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হবে।’

কিন্তু, রাজধানীর বাইরের কোনো হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ বেড নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার সরঞ্জাম সরবরাহকারী সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপোর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালের আইসিইউগুলোতে ৩৬টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়েছে। এখন মোট ১৬৪টি ভেন্টিলেটর আছে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

ফলে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রবীণদের নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশে এই ভাইরাসে মারা যাওয়া পাঁচ জনেরই বয়স ৬০ থেকে ৭৫ এর মধ্যে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য আলাদা আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করা উচিৎ। কারণ, এই রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালের অন্য রোগীদের সঙ্গে রাখা যায় না।

গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ১০০ আইসিইউ বেড বসানো হবে।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আরও ৩০০ আইসিইউ বেড বসানো হবে।’ যদিও তিনি এজন্য কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেননি।

অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বে-নজির আহমেদ বলেছেন, ‘সারাদেশের নিবিড় পরিচর্যা সুবিধা বাড়াতে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিত্সায় ১০০ থেকে ২০০ আইসিইউ বেডসহ একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা উচিত সরকারের।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের একটি নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিত্সা দিতে হবে। সেখানের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনসহ অন্যান্য সুবিধা থাকতে হবে।’

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে Scarce ICU beds a big worry লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago