করোনার মোকাবেলায় ব্যবহার হবে রিয়াল মাদ্রিদের স্টেডিয়াম

ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে রয়েছে ইউরোপ। বিশেষ করে ইতালি ও স্পেন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন দেশ দুটিতে। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে তাই কঠিন লড়াই চালাচ্ছে তারা। যুদ্ধে সামিল হয়ে আরও একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের ফুটবল স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যু করোনাভাইরাস মোকাবিলার কাজে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ।

স্পেন তথা পুরো ইউরোপেই অনেক দিন থেকে মাঠে ফুটবল নেই। মূলত করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবীই স্থবির। স্টেডিয়ামগুলো খাঁ খাঁ করছে। বার্নাব্যুতেও একই অবস্থা। স্টেডিয়ামটিকে অব্যবহৃত অবস্থায় আর ফেলে রাখছে না রিয়াল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ করে করোনা মোকাবিলা সেন্টারে পরিণত করার জন্য এর মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বার্নাব্যুকে। ওষুধ থেকে শুরু করে স্যানিটাইজারের মতো অতিপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রী এই মাঠে জমা করা হবে।

কদিন আগেই করোনার কাছে হার মেনেছেন রিয়ালের সাবেক এক সভাপতি। ক্লাবটির আরেক সাবেক সভাপতিও আক্রান্ত হয়েছেন এ ভাইরাসে। তাই করোনা প্রতিরোধে আটঘাট বেঁধেই নেমেছে তারা। মাদ্রিদের সরকারি তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেছে ক্লাবটি। আর এবার চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার জন্য নিজেদের স্টেডিয়ামই খুলে দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যৌথ উদ্যোগে নেওয়া এই পরিকল্পনার কথা চূড়ান্ত করে ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘দুটি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বার্নাব্যুতে চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখা হবে। আমরা এখানে করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য দান করা চিকিৎসা সরঞ্জাম জমা রাখব।’

এখন পর্যন্ত, স্পেনে ৫৭ হাজার ৭৮৬ জনের বেশি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ৩৬৫ ছাড়িয়েছে। মহামারি মোকাবেলায় আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পুরো দেশ লকডাউন করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

2h ago