করোনাভাইরাস মোকাবিলা

প্রস্তুত সিলেটের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চীনের উহান থেকে সারাবিশ্বে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু করে, সে সময় থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেটের চণ্ডিপুল এলাকায় অবস্থিত নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চীনের উহান থেকে সারাবিশ্বে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু করে, সে সময় থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেটের চণ্ডিপুল এলাকায় অবস্থিত নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত রেখেছে আইসোলেশন ইউনিট, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও পোস্ট আইসিইউ।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবায় অপরিহার্য যন্ত্র হচ্ছে ভেন্টিলেটর। আমরা ইতোমধ্যে তিনটি ভেন্টিলেটর স্থাপন করেছি। আগামী সপ্তাহে আরও দুটি দেশে এসে পৌঁছাবে।’

এ ছাড়াও, ভেন্টিলেটরের বিকল্প হিসেবে সাতটি বাইপাপ মেশিনও স্থাপন করা হয়েছে এবং মোট ১৭টি অবজারভেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি শিফটে দেড় শ জন করে মোট সাড়ে চার শ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবাদানকারীরা এ হাসপাতালে কাজ করেন। তাদের প্রত্যেকের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুরঞ্জাম নিশ্চিত করা হয়েছে।’

হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সজীব রায় বলেন, ‘অন্যান্য হাসপাতালে আমাদের সহকর্মীরা যখন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) সংকটে ভুগছেন, তখন আমরা নিরাপদে থেকে সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারছি।’

করোনা সচেতনতা বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে ইতোমধ্যে দুটি হটলাইন নাম্বার চালু করেছে হাসপাতালটি। এ ছাড়াও, তাদের ফেসবুক পেজে ‘করোনা বট’ সংযুক্ত করে আগ্রহীদের দ্রুত করোনাভাইরাস বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডা. শাহরিয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা দ্রুত প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম, কিন্তু ততক্ষণে বিশ্বব্যাপী মেডিকেল যন্ত্রপাতির সংকট দেখা দিয়েছে এবং আমরা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি উন্নত ও আধুনিক সরঞ্জামাদি নিয়ে আসতে। যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘সরকার এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালেই করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু, পরিস্থিতি যদি খারাপ হয়, তখন আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় এগিয়ে আসবো।’

এ রকম সময়ে অবসরে যাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও যাতে এগিয়ে আসেন, সে লক্ষ্যে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

Comments