করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে সিসিসি’র ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী

CTG_CCC_Worker
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ছাড়াই মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পেছনে ফেলা হয় মেডিকেল বর্জ্য। সেই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় তিন হাজার রোগী ও তাদের স্বজনদের ফেলে দেওয়া বর্জ্যও ফেলা হয় এই ময়লার ভাগাড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগ জানায়, নগরীর ৯১টি ক্লিনিক ও ১৮৮টি ল্যাবরেটরি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ টন বর্জ্য ভাগাড়ে আসে। এ ছাড়া, পুরো নগরীতে প্রতিদিন জমে আড়াই হাজার টন বর্জ্য।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোনো ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ছাড়াই মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ করছেন। নগরীর কাজীর দেউড়ি, বিমান অফিস, জামালখান, চেরাগিপাহাড়া, আশকারদিঘীর পাড়, দুই নম্বর গেট ও জিইসি’র মোড় ঘুরে দেখা গেছে, খালি হাতে ময়লার ভেতরে দাঁড়িয়ে সেগুলো ডাম্পিং ট্রাকে তুলছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের চার হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে একটি করে মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার চমেক হাসপাতালের পেছনে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ করছিলেন অজয় দাস। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগেও কোনো সুরক্ষা পোশাক ছিল না। এখনো নেই। এখন শুনছি করোনা নামে রোগ এসেছে। কপালে যা আছে তাই হবে।’

করপোরেশন থেকে পিপিই দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন বলেছে এসবের দরকার পড়ে না।’ সিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের মাস্ক সরবরাহ করেছি। পর্যায়ক্রমে গাউন, গামবুট ও হ্যান্ড গ্লাভস সরবরাহ করবো।’

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া বর্জ্য অপসারণ করলে যেকোনো পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। যেহেতু চট্টগ্রামে এখনো কোনো করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি, তাই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আপাতত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নেই। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বর্জ্য আলাদা করে নিয়ে কীভাবে ডিসপোজ করতে হবে সেটির জন্য গাইডলাইন আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago