কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চার মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন জন ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
টেকনাফ ২, বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করবে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি বিশেষ দল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় ছ্যুরিখালে নাফ নদীর তীরে অবস্থান নেয়। একটি নৌকায় চার থেকে পাঁচ জন লোক বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করলে সন্দেহজনক মনে করে বিজিবি সদস্যরা তাদের থামার সংকেত দেন। সে সময় সশস্ত্র ইয়াবা চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে নেমে কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা কেওড়া বাগান থেকে তিন জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি গুলির খোসা, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ তিন জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা তিন জনই রোহিঙ্গা হতে পারে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস বলেন, আজ ভোররাত ৪টার দিকে হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর (৩৬) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
মুছা টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী খারাইংগ্যাঘোনা এলাকার আবুল বাশারের ছেলে। প্রদীপ কুমার দাস আরও বলেন, নিহত মুছা মাদক চোরাকারবারি ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক ও ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কে আলম বলেন, বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments