মহৎ কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন, ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে মাহমুদউল্লাহ

সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট না হলেও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা চেষ্টা করছে যাচ্ছেন সংকট মোকাবিলার। আর তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
mahmudullah
ছবি: এএফপি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার সামনে থাকছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্যান্য কর্মীরা। নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন অন্যের কল্যাণে, অন্যের জীবন বাঁচাতে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট না হলেও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা চেষ্টা করছে যাচ্ছেন সংকট মোকাবিলার। আর তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওবার্তায় ডানহাতি তারকা ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের ডাক্তারগণ, আমাদের নার্সরা ও চিকিৎসাসেবায় যারা নিয়োজিত আছেন, সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কোভিড-১৯ এর মতো এই দুর্যোগের সময়ে আপনারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন ও দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন, মন থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের এই মহৎ কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন, ইনশআল্লাহ।’

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সরকারের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি, তৈরি হয়েছে লকডাউনের মতো অবস্থা। আর ঘরবন্দি মানুষদের সতর্ক করে মাহমুদউল্লাহ দিয়েছেন বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ, ‘গতকাল রাতে একটি ভাবনা মাথায় এলো। অনেকে হয়তো এভাবে চিন্তা করতে পারি যে, আমরা এতদিন ধরে বাসায় আছি, দৈনন্দিন কাজ করছি বাসায় থেকে, টানা বাসায় থেকে একটু অবসাদ চলে আসতে পারে অনেকের, বিরক্ত লাগতে পারে, মনে হতে পারে, একটু বাসার নিচে যাই, কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি, সামনের মোড় থেকে হেঁটে আসি। কিন্তু কারও মাথায় এরকম চিন্তা এলে, আমরা যেন তা ঝেড়ে ফেলি।’

সবাইকে নিরাপদে থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সমাজের শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেও আহ্বান করেছেন তিনি, ‘এই মুহূর্তে বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ও সময়ের দাবি। কারণ, যতটুকু এটা আমার ও পরিবারের জন্য, ততটুকু অন্যদের জন্যও প্রয়োজন। নিজে নিরাপদে থাকি, অন্যদেরও নিরাপদে রাখি। একটা দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, যারা শ্রমজীবী মানুষ, এই মুহূর্তে হয়তো বেকার হয়ে পড়ছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করব, যে যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ও সাহায্য করার।’

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

2h ago