ত্রুটিপূর্ণ করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম পাঠানো হয়নি: চীনা দূতাবাস

বাংলাদেশে পাঠানো ৪০,৫০০ করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম চীনের শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি থেকে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।

বাংলাদেশে পাঠানো ৪০,৫০০ করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম চীনের শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি থেকে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।

এক বিবৃতিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার স্পেন সরকার ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ক্রুটিপূর্ণ সরঞ্জাম পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তোলে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন থেকে বাংলাদেশে যেসব সরঞ্জাম পাঠিয়েছে তার কোনোটিই শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি কোম্পানির উপাদানে তৈরি হয়নি। চীন থেকে পাঠানো চিকিৎসা সরঞ্জাম মানদণ্ড মেনে এবং যোগ্য সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চীনের শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি থেকে পাঠানো হাজারো করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্প্যানিশ সরকার। অভিযোগ আছে, এর সঠিক শনাক্তকরণের হার মাত্র ৩০ শতাংশ।

এরইমধ্যে বাংলাদেশে চীন সরকার ও বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের জ্যাক মা কোভিড-১৯ শনাক্তে ৪০,৫০০ পরীক্ষা সরঞ্জাম পাঠায়।

চীনের বিবৃতিতে বলা হয়, স্পেনে চীনের ক্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার বেশ কিছু সংবাদ তাদের নজরে এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যে শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি কোম্পানিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএমপিএ) তাকে বিক্রি করার কোনো অনুমতি দেয়নি। এমনকি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও একে চিকিত্সা সরঞ্জাম সরবরাহের যোগ্য সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেনি।

চীন সবসময়ই বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চীনের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করবে।

বিবৃতিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা সরঞ্জামগুলো রাখার নির্দিষ্ট পরিবেশ থাকতে হবে। কঠোর নির্দেশনা ও ব্যবহার পদ্ধতি মেনে পেশাদার কেউ এটি পরীক্ষা করবেন।

করোনাভাইরাস শনাক্ত সরঞ্জামের অপব্যবহার হলে, চীন সরকার ও নির্মাতা দায়বদ্ধ হবে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago