চট্টগ্রাম-ঢাকা কনটেইনারবাহী ট্রেন স্থগিত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) তে আমদানি করা পণ্যবাহী কনটেইনার বহনকারী ট্রেন গতকাল থেকে স্থগিত আছে।
ছবি: স্টার অনলােইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) তে আমদানি করা পণ্যবাহী কনটেইনার বহনকারী ট্রেন গতকাল থেকে স্থগিত আছে।

আজ রোববার চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এর আগে আইসিডি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল, তাদের কনটেইনার রাখার মতো আর জায়গা নেই। তাই আমদানিকারকরা এগুলো না নেওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো কনটেইনার নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে, কনটেইনার পরিবহন করা ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা পণ্য পরিবহন বন্ধ করিনি। পণ্যবাহী ট্রেনগুলো তেজগাঁও, ঢাকা সেনানিবাস, সিলেট, পার্বতীপুর, রংপুর, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন চালু রেখেছে।’

গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনারবাহী ট্রেন আইসিডির উদ্দেশ্যে বন্দর ছেড়ে যায়। এরপরে আরও দুটি কার্গো ট্রেনে কনটেইনার বোঝাই করা হলেও সেগুলো চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) আটকে আছে বলে জানান তিনি।

কমলাপুরে আইসিডি প্রধান আহমেদুল করিম চৌধুরী বলেন, দেশব্যাপী শাটডাউন শুরুর পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি কনটেইনার বোঝাই ট্রেন আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, আমদানিকারকরা যানবাহন ও অন্যান্য সঙ্কটের কারণে তাদের পণ্য খালাস করেনি। ফলে আইসিডির যে ধারণক্ষমতা রয়েছে তা পূর্ণ হয়ে গেছে।

গতকাল বিকেল পর্যন্ত আইসিডিতে মোট ৪ হাজার ৭০০ টিইইউএস কনটেইনার আসে। কিন্তু, এর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৪ হাজার টিইইউএস। কোনও জায়গা না পেয়ে আমদানি করা প্রায় ১২০ টিইইউএস কনটেইনার রপ্তানির জন্য নির্ধারিত জায়গায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, তারা রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল এসব মাল বোঝাই ট্রেনগুলো আখাউড়া, তেজগাঁও, ঢাকা সেনানিবাস স্টেশন বা আইসিডির কাছাকাছি বিভিন্ন স্থানে থামিয়ে রাখতে। কিন্তু, তারা কনটেইনার স্থগিত করে দিয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান অবশ্য বলেন, যেসব ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য থামিয়ে রাখার প্রস্তাব কার্যকর ব্যবস্থা নয়।

তিনি আরও বলেন, এসব ট্রেনের কর্মীরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে না ও কোনো একটি বিশেষ জায়গায় তারা বেশিদিন থাকতেও পারবে না। কারণ, এই মুহূর্তে হোটেল বা খাবারের দোকান কোনো কিছুই খোলা নেই।

যদি চট্টগ্রাম বন্দর এবং ঢাকা আইসিডি থেকে এসব খালাস শুরু না হয় তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার জটলায় পড়বে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত ২৪ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক আদেশে নিত্যপণ্য, জরুরি ওষুধ ও পরিষেবা উপকরণ ছাড়া অন্যান্য পণ্য সরবরাহের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলে, ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য সরবরাহ কমে যায়।

আইসিডি প্রধান বলছেন, আমদানিকারকরা যাতে কার্গো সরিয়ে নেন। সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now