‘ঝোপ বুঝে কোপ মারছে’ বেলারুশের ফুটবল লিগ

অন্য কোথাও মাঠের খেলা চালু না থাকায় জনপ্রিয়তাও পেতে শুরু করেছে তারা। গৃহবন্দি ফুটবলপ্রেমিরা ঝুঁকতে শুরু করেছেন বেলারুশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দিকে। আর দর্শকদের এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ফায়দাও তুলে নিতে শুরু করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ।
belarus premier league
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় সারা বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যতিক্রম কেবল পূর্ব ইউরোপের দেশবেলারুশে। মহামারির মধ্যেই কয়েক দিন আগে সেখানে শুরু হয়েছে ফুটবলের নতুন মৌসুম! অন্য কোথাও মাঠের খেলা চালু না থাকায় জনপ্রিয়তাও পেতে শুরু করেছে তারা। গৃহবন্দি ফুটবলপ্রেমিরা ঝুঁকতে শুরু করেছেন বেলারুশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দিকে। আর দর্শকদের এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ফায়দাও তুলে নিতে শুরু করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ।

আমেরিকান বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ক্রমবর্ধমান দর্শকপ্রিয়তার কারণে একটি-দুটি নয়, বেলারুশ ফুটবল লিগ নতুন দশটি সম্প্রচার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে!

রাশিয়া, ইসরায়েল, ভারতসহ দশটি দেশের স্পোর্টস নেটওয়ার্ক কিনেছে লিগের সম্প্রচার স্বত্ব। ফলে এসব দেশের ফুটবলভক্তরা উদ্ভূত স্থবির পরিস্থিতিতেও ঘরে বসে টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের মুখপাত্র আলেক্সান্দার আলেইনিক বলেছেন, ‘এটা একটা অভূতপূর্ব অবস্থা।’

বেলারুশের প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেন। তাদের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘স্পোর্ট ওয়ান’ আগে থেকেই বেলারুশিয়ান লিগ সম্প্রচার করে আসছে। কারণ, ইউক্রেনের অনেক ফুটবলার সেখানে খেলেন।

নেটওয়ার্কটির প্রধান ভিক্টর সামোইলেঙ্কো অবশ্য উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বেলারুশের লিগের, ‘আমরা আশা করিনি যে, তাদের লিগ এতটা ভালো হবে। আমরা জানতাম না কারণ, আমরা আগে ম্যাচগুলো সম্প্রচার করিনি।’

করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত গোটা ইউরোপ। বেলারুশেও এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ জন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে দেশটি প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলায় তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

উল্টো বেলারুশের রাষ্ট্রপতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বহীন বলে প্রচার করার চেষ্টা করছেন। গতকাল শনিবার আইস হকি খেলার পর স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘হাঁটুতে ভর করে বেঁচে থাকার চেয়ে দাঁড়িয়ে মারা যাওয়া ভালো।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago