করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে হাসপাতাল করছে নাভানা গ্রুপ

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ১০০ শয্যার আইসোলেশনসহ ফিল্ড হাসপাতাল করছে শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপ।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ফিল্ড হাসপাতাল করছে নাভানা গ্রুপ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ১০০ শয্যার আইসোলেশনসহ ফিল্ড হাসপাতাল করছে শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপ। 

এপ্রিলের মধ্যেই হাসপাতালটি পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে আশা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।

হাসপাতালের জন্য যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে সেটি চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা করার একমাত্র ল্যাব বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর কাছাকাছি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় নাভানা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড এর কারখানা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি দ্য ডেইলি

স্টারকে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেন, করোনা উপসর্গে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চট্টগ্রামে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন চট্টগ্রামের ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়া ও নাভানা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম। আজ আমরা সরেজমিনে গিয়ে

ফৌজদারহাটে অবস্থিত প্রায় ১২ হাজার বর্গফুটের দোতলা ভবনটি দেখেছি। এ জায়গাটি চট্টগ্রামের করোনাভাইরাস পরীক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিআইটিআইডি’র পাশে হওয়ায় অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। 

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এখানে প্রায় ১০০টি আইসোলেশন বেড তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সংস্থা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রামে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই নিজের ফেসবুকে আহ্বান জানান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। এতে নিজের একটি কারখানার ভবন দিয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে নাভানা গ্রপ।

গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব দেন নাভানা গ্রুæপের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম।

বিদ্যুৎ বড়ুয়া ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে উচ্চতর ডিগ্রী ও চাকরির সুবাদে সুইডেন ও ডেনমার্কে ছিলেন ১০ বছর।

বর্তমানে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনার ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।

ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাই আমাদের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। পাবলিক হেলথ নিয়ে কাজ করার সুবাদে এ বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা আমার ডাক্তার

সহকর্মীদের জানাই। তারাও আমার সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি কোথায় করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরবর্তীতে নাভানা গ্রুপ এগিয়ে আসার কারণে বিষয়টি সহজ হয়েছে।

এ বিষয়ে নাভানা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আরফাদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দেশের এ দুর্যোগ মুহূর্তে আমরা চেয়েছিলাম দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। প্রথম দিকে আমরা ঢাকার দিকেই একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করলেও পরবর্তীতে চট্টগ্রামকে বেছে নিই।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago