করোনা পরিস্থিতিতে কিছু কারাবন্দির জামিনের সুপারিশ

স্টার ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের সময়ে, যারা দুই বছর বা তার কম সময় কারাভোগ করছেন অথবা বিচারাধীন কোনো মামলায় একই ধরনের দণ্ড হতে পারে এমন বন্দিদের জামিন দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন কয়েকজন আইনবিদ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট প্রাসঙ্গিক নথি পরীক্ষা করে, বিচারাধীন বন্দিদের জামিন দিতে পারেন।

তিনি মনে করেন, বিচারাধীন এই বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত, কারণ করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারণে তাদের পরিবার উদ্বেগের মধ্যে আছে। 

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং জামিনের আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটরা চাইলে তাদের কার্যালয়ে এটি করতে পারেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, সরকার চাইলে বিচারাধীন এমন বন্দিদের স্বল্প সময়ের জন্য প্যারোলেও মুক্তি দিতে পারে।

আইনজীবী শাহদীন মালিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রথমত, দুই বছর বা তার কম কারাদণ্ডে দণ্ডিত সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড হয় না, এমন মামলায় যারা এরই মধ্যে দুই বছর বা বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন তাদেরও মুক্তি দেওয়া উচিত।

শাহদীন মালিক বলেন, এক্ষেত্রে যারা একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত হবে না। তবে নারী কয়েদিদের মুক্তির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার কথাও বলেন তিনি।

শাহদীন মালিক বলেন, এই কাজগুলো করা হলে, জামিনযোগ্য মামলার দীর্ঘসূত্রতা কিছুটা হলেও দূর হবে এবং একইসঙ্গে এটি কারাগারে করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাব রোধে সাহায্য করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ঢাকা ল রিপোর্টস এর সম্পাদক খুরশীদ আলম খান জানান, করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারণে এখন আদালত বন্ধ আছে। এমন অবস্থায় জরুরি জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি দুটি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন এবং কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারেন।

তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি কারাবন্দি আছেন। যা তাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।   

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও আইনমন্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। 

Comments

The Daily Star  | English
DGFI involvement in enforced disappearances

2 years lost, life shattered

He was around 15 when he was picked up, a ninth grader.

9h ago