১ লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা অর্থসহায়তা ব্র্যাকের

দেশের অতিদরিদ্র ও কর্মহীন এক লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা অর্থসহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। দুই সপ্তাহের খাবারের জন্য প্রতি পরিবার ১৫০০ টাকা করে পাবে।

দেশের অতিদরিদ্র ও কর্মহীন এক লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা অর্থসহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক। দুই সপ্তাহের খাবারের জন্য প্রতি পরিবার ১৫০০ টাকা করে পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আজ থেকেই নগদ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের মতো পদেক্ষপ নেওয়ার কারণে জীবিকার ঝুঁকিতে পড়া দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য খাবার কেনার সহায়তা দিতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ব্র্যাক। মহানগর ও নগর এলাকার বস্তি, উপশহর এবং দুর্গম এলাকার পরিবারগুলোর জন্য এ সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ পরিবারকে নিজস্ব তহবিল থেকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। ব্র্যাকের চারটি উন্নয়ন কর্মসূচি ও হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এমন এক মানবিক সংকট যার একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অর্থনীতিতে এই সংকটের মারাত্মক প্রভাবও বিদ্যমান। বিশ্ব ব্যাংকের উপাত্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ দিনে ৫০০ টাকার বেশি উপার্জন করেন। অধিকাংশ গ্রামের মানুষ শহর ও বিদেশ থেকে স্বজনদের পাঠানো অর্থের ওপর নির্ভরশীল। এটা একটি বৈশ্বিক সংকট হওয়ায় সারা পৃথিবীতে মানুষ কাজ হারাচ্ছে। এর ফলে আয় বন্ধ হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জরুরি সহায়তার লক্ষ্য সেইসব পরিবার যারা করোনাভাইরাসের প্রকোপে আয়ের উৎস হারিয়েছেন। আমরা ১ লাখ পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছি, যদিও প্রয়োজন আরো অনেক বেশি পরিবারের। আমি তাই সহানুভূতিশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারাও এগিয়ে আসেন।’

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জানান, অর্থ প্রদানের এই কার্যক্রম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে একই পরিবারের কাছে একাধিকবার সাহায্য না যায় এবং যথাসম্ভব বেশি সংখ্যক অতিদরিদ্র পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্র্যাকের এই সহায়তা চার সদস্যের একটি পরিবারকে দুই সপ্তাহের জন্য ন্যূনতম খাদ্য উপকরণ কিনতে সাহায্য করবে। ১২টি সিটি করপোরেশন, ৮টি পৌরসভা, ৩৮টি সদর উপজেলা, হাওর, নদীবন্দর এবং বাজারহাট এলাকা ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশের পাড়াগুলোতে বসবাসকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো এ সহায়তা পাবেন। কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্র্যাকের কর্মীবাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন।

ব্র্যাক ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এতে যুক্ত রয়েছে এর এক লাখেরও বেশি কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্যকর্মী। এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়।

Comments