দিল্লির তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া ৩ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত
দিল্লির নিজামুদ্দিনে মারকাজ মসজিদের তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া তিন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পালওয়াল এলাকার হাচপুরি গ্রামে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এদের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
পালওয়ালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ব্রাহাম দীপ সিন্ধুর বরাতে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, করোনাভাইরাসের ‘হিটলিস্ট’ এ থাকা দিল্লির নিজামুদ্দিনে মারকাজ মসজিদ আয়োজিত তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া ১২ জনকে তারা খুঁজে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। এদের ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
আক্রান্ত তিন বাংলাদেশির বয়স ত্রিশের কোঠায় বলে জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তাদেরকে একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি ওই তিন নাগরিক গত ১৪ দিনে পাঁচটি গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়েছেন, সেখানে থেকেছেন। সামাজিক সংক্রমণ এড়াতে ৫০ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার একটি দল পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ওই গ্রামগুলোতে যাবেন। ওই গ্রামগুলোর প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’
হাতিন জেলার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ‘ওই পাঁচ গ্রামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ও গ্রামের সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৬ জন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন। ৯০ জনকে বেসরকারি হাসপাতালে এবং প্রায় ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’
গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির তাবলিগ-ই-জামাতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মারকাজ নিজামুদ্দিনে অন্তত দুই হাজার মানুষের সমাগম হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজস্তানসহ কয়েকটি দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওই জমায়েতে যোগ দেন।
করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যোগ দেওয়া অন্তত ৮৫০ জনকে খুঁজে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই সমাবেশ করায় তাবলিগ জামাতের প্রধান মাওলানা সাদ কান্দলভিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ।
এনডিটিভি জানায়, আত্মগোপনে থাকা তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা সাদ কান্দলভিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার দুটি অডিও ক্লিপ দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে এক চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন বলে দাবি করেন।
Comments