পাকিস্তানে মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন সর্বোচ্চ ৫ জন, সিন্ধু প্রদেশে জরুরি অবস্থা

মসজিদের জমায়েত থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে লকডাউনের পাশাপাশি তিন ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রদেশটির রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
HEALTH-CORONAVIRUS-PAKISTAN.jpg
পাকিস্তানে লকডাউন চলাকালে মসজিদের পরিবর্তে বাড়িতে গিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য মুসুল্লিদের অনুরোধ করছেন এক পুলিশ সদস্য। ছবি: রয়টার্স

মসজিদের জমায়েত থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে লকডাউনের পাশাপাশি তিন ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রদেশটির রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডনসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গত শুক্রবার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিপুল সংখ্যক মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ায়, আজ কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।

সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়, একটি মসজিদে ইমামসহ সর্বোচ্চ পাঁচ জন নামাজ পড়তে পারবেন।

সিন্ধু প্রদেশে আজ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল বন্ধ করা হয়।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সেখানকার কয়েকজন ইসলামিক স্কলার। করোনা বিস্তারের কারণে সবাইকে বাড়িতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রাজধানী ইসলামাবাদেও প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের লাউডস্পিকারে ‘মসজিদে নয়, বাড়িতে নামাজ আদায়ে’র জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। কেবল সিন্ধু প্রদেশেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন মার্চের মাঝামাঝি সময়ে লাহোরের একটি তাবলীগ জামাতে অংশ নিয়েছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফিলিস্তিন ও ইসলামাবাদের কয়েকজন আক্রান্তও ওই জামাতে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। 

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে। করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় প্রায় ১০ দিন আগে সিন্ধু প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago