করোনাভাইরাস: নাম-পরিচয় গোপন করে নেইমারের ১০ লাখ ডলার অনুদান

ব্রাজিলিয়ান তারকা নাম-পরিচয় না জানিয়েই দিয়েছেন বড় অঙ্কের আর্থিক অনুদান। কিন্তু বিষয়টি আর গোপন থাকেনি।
neymar
নেইমার। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। যে যেভাবে পারছেন, করছেন সহায়তা। কেউ চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে, কেউ আবার আর্থিকভাবে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নেইমারের নাম। ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য নাম-পরিচয় না জানিয়েই দিয়েছেন বড় অঙ্কের আর্থিক অনুদান। কিন্তু বিষয়টি আর গোপন থাকেনি।

সম্প্রতি ব্রাজিলের টেলিভিশন চ্যানেল এসবিটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ফরোয়ার্ড। এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং নেইমারের বন্ধু ও ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব লুসিয়ানো হাকের উদ্যোগে গঠিত ত্রাণ তহবিলে। তবে কোন তহবিলে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

নেইমারের গোপনে অর্থ সহায়তা করার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে এসবিটি তাদের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছে, ‘যদিও অনুদান দেওয়ার কথা জনসম্মুখে প্রকাশ না করার ব্যাপারে তার সমর্থন ছিল, কিন্তু আমরা সবাইকে বলছি, কারণ, যখন কোনো ব্যক্তি সুন্দর কিছু করেন, তখন আমরা সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই। আমাদের কাছে এই তথ্য আছে (অনুদান দেওয়ার)। আমরা মনে করি, সত্যিই এটি একটি দারুণ বিষয়, খুবই ইতিবাচক মনোভাব। আর অন্য খেলোয়াড়দের জন্য, অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য এটি উদ্দীপক হিসেবেও কাজ করবে।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার। ২৮ বছর বয়সী ফুটবলারের প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনুদান কিংবা অর্থের পরিমাণের বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলি না।’

উল্লেখ্য, এর আগে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদান রাখতে এগিয়ে এসেছেন সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও। জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা রোনালদো নিজ দেশের সবচেয়ে বড় শহর লিসবনের সান্তা মারিয়া হাসপাতালে ২০টি আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প ও সিরিঞ্জ দিয়েছেন। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য কাতালুনিয়া অঞ্চলের একটি হাসপাতালকে দিয়েছেন দশ লাখ ইউরো।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago