পাকিস্তান ক্রিকেটের ব্রাজিল, বললেন ওয়াসিম

প্রতিভাবান উঠতি ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি পাকিস্তানে। বিশেষ করে, দলটির বোলিং বিভাগে। কিছু দিন পরপরই কোনো না কোনো তরুণ খেলোয়াড় নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে সাড়া ফেলে দেন। বহু বছর ধরেই ক্রিকেট দুনিয়া বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করে আসছে তাদের এই ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি। উঠতি প্রতিভাদের ‘ভাণ্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানকে ক্রিকেটের ব্রাজিল বলে অভিহিত করেছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল করাচি কিংসের কোচ ডিন জোন্সের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম। আলোচনার এক পর্যায়ে তারা দুজনেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, পাকিস্তানে প্রতিভাসম্পন্ন তরুণ ক্রিকেটারের প্রাচুর্য রয়েছে।
আলাপ চলাকালীন ওয়াসিমের উদ্দেশে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান জোন্স বলেন, ‘তোমরা হলে প্রতিভার ভাণ্ডার। আমরা অস্ট্রেলিয়ায় সবসময়ই বলাবলি করতাম, পাকিস্তানে এত প্রতিভা! বিষয়টা হলো তোমরা কীভাবে এই প্রতিভাগুলোকে কাজে লাগাও।’
অজিদের হয়ে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া জোন্সের সঙ্গে একমত পোষণ করে ওয়াসিম এরপর জানান নিজের পর্যবেক্ষণ। প্রতিভাবান ফুটবলারদের ঘাঁটি ব্রাজিলের সঙ্গে টানেন নিজ দেশের তুলনা, ‘প্রচুর উঠতি প্রতিভা, এটা ক্রিকেটের ব্রাজিলের মতো।’
পাকিস্তানের বোলাররা যে কেবল দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাপিয়ে বেড়ান তা নয়, নতুন নতুন কৌশলও তারা উপহার দিয়েছেন ক্রিকেটকে। দুসরা, রিভার্স সুইংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব তাদের। পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলারদের বন্দনায় জোন্স যোগ করেন, ‘তুমি (ওয়াসিম), ওয়াকার (ইউনুস) ও শোয়েব (আখতার) আর অবশ্যই আব্দুল (কাদির) ও মুশির (মুশতাক আহমেদ) মতো বোলাররা ভিন্ন কৌশল, ভিন্ন মনোভাব নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এমনকি এখনও অনেকে নিয়ে আসছে।’
১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইমরান খানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ওই দলে ছিলেন ইনজামাম উল হক, ওয়াসিম ও মুশতাকের মতো তরুণ ক্রিকেটার। সেই স্মৃতি হাতড়ে জোন্স বলেন, ‘ক্রিকেট পাকিস্তানের ডিএনএতে সবসময়ই ছিল। তবে আমার মনে হয়, আশির দশকের শেষদিকে ইমরান অধিনায়ক হওয়ার পর এটা বড় কিছুতে রূপান্তর হতে শুরু করে। যখন তোমরা প্রায় এক লাখ দর্শকের সামনে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলে, সেটা ছিল অসাধারণ।’
Comments