বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ফুটবলার সাদ

রোববার সকাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের বেশ কিছু প্যাকেট নিয়ে বের হন সাদ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তার নিজ এলাকার তিনটি গ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি যান তিনি।
ছবি: সংগ্রহ

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় জনজীবন স্থবির। এতে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনে হুট করেই লেগেছে বড় ধাক্কা। সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় বের হওয়ারও উপায় নেই। জাতীয় দলের ফুটবলার সাদ উদ্দিন তাই এমন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজ এলাকায় সংকটে থাকা মানুষদের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস।

রোববার সকাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের বেশ কিছু প্যাকেট নিয়ে বের হন সাদ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তার নিজ এলাকার তিনটি গ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি যান তিনি।

সিনএনজি অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়িতে করে বোঝাই করা প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ, মরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছিলো।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সব ধরণের খেলাধুলা বন্ধ আছে। খেলা, অনুশীলন কিছু না থাকায় সিলেটে ফিরে বাড়িতে বসেই সময় কাটছিল সাদের। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে অসহায় মানুষের সংকটের কথা জেনে বেরিয়ে পড়েন, উদ্যোগ নেন সহযোগিতার। বাংলাদেশ ফুটবল দলের এই ফরোয়ার্ড মনে করেন সবাই মিলে এক হয়ে লড়াই করলেই এই দুর্দিন কেটে যাবে, ‘আমাদের সকলেরই উচিত এখন মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা। নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করা। সকলের প্রচেষ্টায়  আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জিতবই। আবারো মাঠে নামবো, সব কিছু একদিন স্বাভাবিক হবে ইনশাআল্লাহ।'

এর আগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটাররা বেতনের অর্ধেক দিয়ে গঠন করেছেন তহবিল। ক্রীড়াবিদরা এই কাজে আহবান করছেন সামর্থ্যবানদের। 

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

3h ago