এপ্রিল মাসটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি, তবে চিন্তার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশনাগুলো আপনারা দয়া করে মেনে চলবেন। ইনশাআল্লাহ এ অবস্থাও আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশনাগুলো আপনারা দয়া করে মেনে চলবেন। ইনশাআল্লাহ এ অবস্থাও আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। তবে, চিন্তার কিছু নেই। আমরা এগুলো সব সময় মোকাবিলা করেছি। মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। সবাইকে বলবো, কেউ লুকাতে যাবেন না। সুরক্ষিত থাকুন। কারো এতটুকু খারাপ লাগলে, অসুখ মনে হলে ডাক্তারের কাছে যাবেন, চিকিৎসা নেন। যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি, তখন থেকে এ পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করি। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা উন্নয়নের রোল মডেল। প্রবৃদ্ধির হার আমরা সব থেকে বেশি অর্জন করতে পেরেছি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্ব আগে আমরা আছি। আমাদের এই উন্নয়নের গতি যখন অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচনে (এটির হার) আমরা ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা যখন মুজিববর্ষ পালন করছি ২০২০ সালে, মুজিববর্ষ পালনকালীন সময় থেকে আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো, এই সময়ের মধ্যে আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে আনা, প্রতিটি গৃহহীন মানুষ, জমিহীন মানুষ, তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়া, প্রতিটি ক্ষুদার্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া। তা ছাড়া, বয়স্ক, বিধবা বা প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে সমাজের যারা একেবারে অবচহেলিত জনগোষ্ঠী তাদের সকলের ভাগ্য পরিবর্তন, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

‘কিন্তু, দুর্ভাগ্য আপনারা জানেন হঠাৎ করোনা বলে একটা ভাইরাস এটা শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বব্যাপী আজকে একটা প্রলয় সৃষ্টি করেছে। এটা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক যে করোনাভাইরাসের কারণে আজকে সবকিছু স্থবির। এর প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, যেখানে সমগ্র বিশ্বের প্রায় ২০২টা দেশ ভুক্তভোগী এবং প্রতিনিয়ত এটা বাড়ছে। সেই অবস্থায় আমরা শুরু থেকে চেষ্টা করেছি, যে এর প্রভাবে মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে, যেটা আমরা যদি সারা বিশ্বে এই ভাইরাসটা কীভাবে প্রসারিত হয় (দেখি), এটা অনেকটা অঙ্কের মতো। অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি, তাতে মনে হচ্ছে যে আমাদের দেশেও এই ধাক্কাটা এপ্রিল মাসে ব্যাপকভাবে আসার কথা। এরকমই একটা আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের কিছু প্রতিবেদনও আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু প্রেডিকশন দেখতে পাচ্ছি। কাজেই সেই অবনস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে এমনভাবে চলতে হবে যেন এর প্রভাবে আমাদের দেশের মানুষের ক্ষতি কম হয়। তবে, এটা ঠিক যে একটা স্থবিরতা যেটা এসে ঘেছে, অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে সবক্ষেত্রেই তার ফলে দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতির যে গতিশীলতা আমরা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলাম, সেটাও থেমে গেছে। এটা কিন্তু শুধু আমাদের দেশে না। সারা বিশ্ব্যাপী।’

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago