হবিগঞ্জ লকডাউন নয়, এমপির ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় হবিগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা বিষয়ক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে হবিগঞ্জ লকডাউন নয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
Habiganj map
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় হবিগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা বিষয়ক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে হবিগঞ্জ লকডাউন নয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।

এর আগে, হবিগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরের ‘হবিগঞ্জ জেলা লকডাউন’ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে করা একটি পোস্ট থেকে এ বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

‘আজ থেকে হবিগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হলো। সকলের সহযোগিতায় আমরা করোনা মোকাবেলা করতে চাই’– এই শিরোনামে সকাল ১১:৪০ মিনিটে সংসদ সদস্যের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে লকডাউন ঘোষণার খবরও আসে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘হবিগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় ১৭টি অনুশাসন মেনে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে কেউ যেন জেলায় প্রবেশ করতে না পারে এজন্য ইতোমধ্যে চারটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, হবিগঞ্জের প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট অব্যাহত থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হবে। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ যত্রতত্র ঘোরাফেরা করলে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ঘরে থাকা ও যে কোন বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য জেলাবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানিয়েছেন, লকডাউন ঘোষণা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, স্থলপথে জেলার চারটি প্রবেশদ্বার মাধবপুর, ব্রিজ, মুছাই, শেরপুর ও লাখাই ও জলপথে জমিরিগঞ্জ এলাকা দিয়ে যাত্রীবহনকারি গাড়ি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা জোরদার করা হয়েছে।

এমপি আবু জাহির জানান, তিনি ‘লকডাউন’ বলতে জেলা প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তকেই বুঝাতে চেয়েছেন। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে তিনি চেকপোষ্টের মাধ্যমে জেলার প্রবেশদ্বার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে আরেকটি পোস্ট দিলেও ‌আগের লকডাউন করা পোস্টটি মুছে দেননি।

 

Comments