আইন ভেঙে খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলনে মরিনহো!

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাশাপাশি অবস্থান করা কিছু খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাচ্ছেন এ পর্তুগিজ।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোটা ইংল্যান্ডে অবরুদ্ধ ব্যবস্থা কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রত্যেককেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে দলের কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার কোচ হোসে মরিনহোকে। মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাশাপাশি অবস্থান করা কিছু খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাচ্ছেন এ পর্তুগিজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করেন আর্সেনালের এক সমর্থক। ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর লন্ডনের হ্যাডলি কমনে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার ডেভিনসন সানচেজ, রায়ান সেসেনিয়ন এবং টঙ্গি ডমবেলে অনুশীলন করছেন। আর তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন মরিনহো। ভিডিওটি পোস্ট করে ওই আর্সেনাল ভক্ত ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'হ্যাডলি কমনে আজ স্পার্সের ম্যানেজার ও খেলোয়াড়রা অনুশীলন করেছেন। এই মুহূর্তে এটা করে তাদের নিজেদের কোনো উপকার হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না।'

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে ইংল্যান্ড সরকারের আদেশ অনুযায়ী, একজনকে আরেকজনের কাছ থেকে সবসময় কমপক্ষে দুই মিটার দূরে থাকতে হবে। আর ঘরের বাইরে অনুশীলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুইজন একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সে দুজনকে একই পরিবারের সদস্য হতে হবে। কিন্তু টটেনহ্যামের খেলোয়াড়রা একই পরিবারের নন। আর এ কারণে তারা আইনি ঝামেলায়ও পড়তে পারেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য সান।

আরেক ইংলিশ দৈনিক ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের অভিজ্ঞ সাংবাদিক ড্যান কিলপ্যাট্রিক দাবি করেছেন, আইন ভাঙেননি মরিনহোরা। সানচেজ, সেসেনিয়ন এবং ডমবেলেরা সবাই একই এলাকায় থাকেন বলেই একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন। আর সামাজিক দূরত্বও ঠিকই বজায় রেখেছেন। অনুশীলনের নকশায় প্রত্যেককে আলাদাভাবে অনুশীলন করার কথা বলেছেন মরিনহোও।

তবে শুধু এই একটি ভিডিওই নয়, আরও বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তাদের। একটি ছবিতে দেখা যায়, স্পার্সের জার্সি গায়ে খেলোয়াড়দের কৌশল দেখাছেন মরিনহো। আলাদা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সার্জি অরিয়ের তার এক বন্ধুকে নিয়ে রানিং করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago