‘এত দুধ দিয়ে কী করব?’

দুগ্ধ খামারি মোহাম্মদ রাজিব। গত রোববার ভারাক্রান্ত মন নিয়ে তার ১৪টি গরুর দুধ ঢেলে দেন মাঠের গর্তে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সারা দেশের মিষ্টির দোকান বন্ধ। যারা বাড়িতে রোজ দুধ নিতেন তারাও করোনা সংক্রমণের ভয়ে দুধ নিচ্ছেন না।
কুমিল্লার বাসিন্দা রাজিবের প্রশ্ন, ‘এত দুধ দিয়ে কী করব?’
এই অবস্থা শুধু রাজিবের না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানুষ মৌলিক খাবারের মজুদ করছে। সাধারণত মানুষ দুধের মজুদ করে না। তাই চাহিদা কম থাকায় প্রতিদিনের উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি দুধ থেকে যাচ্ছে অবিক্রীত।
বর্তমানে দেশে দৈনিক দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ২ দশমিক ২ কোটি লিটার। এর মধ্যে দুধ প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪ লাখ লিটার সংগ্রহ করে। বাকিগুলো বিক্রি হয় মিষ্টির দোকান ও বাসা-বাড়িতে।
নারায়ণগঞ্জের মিষ্টির দোকান ‘প্রাণ বল্লভ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪২০ লিটার দুধ কিনত। এখন তা ৫০ লিটারে নেমে এসেছে বলে জানান দোকানের মালিক পরিমল ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘দোকান বন্ধ থাকলে কী আর একই পরিমাণে দুধ কিনব?’
দুধ সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় এবং চাহিদা কম থাকার কারণে খামারিদের অনেকেই তাদের প্রতিবেশীদের কাছে নামমাত্র মূল্যে দুধ বিক্রি করছেন। অনেকে আবার দুধ থেকে ক্রিম ও মাখন তৈরি করছেন।
তবে, রাজিবের মতো অনেকেই দুধ ফেলে দিচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ দুগ্ধ খামারি সমিতির (বিডিএফএ) সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান।
খামারি, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও খাদ্য বিপণনকারীদের মতে, দুগ্ধ শিল্পের এই সমস্যার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহে বিস্তৃত সমস্যার তৈরি হবে। কারণ এগুলো মাছের মতো করে হিমায়িত বা শস্যের মতো জমা করে রাখা সম্ভব না।
শাহ ইমরান বলেন, ‘এ অবস্থায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো দুগ্ধ খামারিদের বাঁচাতে পারত। কারণ তাদের দুধের গুঁড়ো, ক্রিম ও মাখন তৈরি ও জমা করার সক্ষমতা আছে। যদি গুঁড়ো দুধ আকারে এগুলো প্রক্রিয়াজাত করা যায় তাহলে কৃষক যেমন বাঁচবেন, তেমনি বাঁচবে প্রতি বছর গুঁড়া দুধ আমদানির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।’
সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই ‘What will I do with so many pails of milk?’ লিংকে ক্লিক করুন
Comments