চট্টগ্রামের বাজারে বাজারে মানুষের ঢল

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বারবার। কিন্তু, চট্টগ্রামে সেই নির্দেশনা মানে হচ্ছে না। উল্টো চট্টগ্রাম শহর ও উপজেলার বাজারগুলোতে যেন মানুষের ঢল নেমেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: স্টার

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বারবার। কিন্তু, চট্টগ্রামে সেই নির্দেশনা মানে হচ্ছে না। উল্টো চট্টগ্রাম শহর ও উপজেলার বাজারগুলোতে যেন মানুষের ঢল নেমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মাংস ও হালুয়া তৈরির সরঞ্জাম কিনতে মানুষ দলে দলে ভিড় করেছে বাজারে। নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কাজীর দেউড়ির বাজারেও ছিল একই চিত্র।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের চৈতন্য গলির সবজি বিক্রেতা নুরুন নবী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা আতঙ্কে বাজারে মানুষের আনাগোনা অনেক কম ছিল। কিন্তু, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আজ মানুষের ঢল নেমেছে। গত কয়েক সপ্তাহে এমন ভিড় দেখা যায়নি।’

কাজীর দেউড়ি বাজারে মাংস কিনতে আসা নিয়াজ রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিতো আছেই। তবুও পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বের হলাম। ফ্রিজের মাংস ভালো লাগে না। তাই ফ্রেশ মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’

উপজেলাগুলোর বাজারেও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও রাউজানের বাজারে মানুষের ঢল নেমেছিল।

হাটহাজারী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘সকাল থেকে কমপক্ষে ২০ জায়গা থেকে মানুষ সরিয়েছি। কিছু বাটখারাও জব্দ করেছি। ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত, সরে গেলেই  আবার সবাই এক জায়গায় জড় হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ও আর্মি টহল দিচ্ছে। মানুষের অবহেলার কারণে আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আজকের ঘটনার পর মনে হচ্ছে বলপ্রয়োগ ছাড়া সম্ভবত আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

22 garment factories shut in Ashulia as workers' demands not met

At least 22 factories were declared closed for an indefinite period today as their negotiations with the factory owners over various demands remain unresolved

14m ago