ডেইলি স্টারে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ত্রাণ পৌঁছল দুর্গম পাহাড়ে

বাড়িতে খাবার না থাকায় বুনো আলু খেয়ে বেঁচে থাকা বান্দরবানের লামা উপজেলার দুর্গম কাপ্রু পাড়ার পেক্রু ম্রো ও তার পরিবার ত্রাণ পেয়েছেন। ছবি: স্টার

বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রত্যন্ত কাপ্রু পাড়ায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছেছে। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে ত্রাণ বিতরণ করে। 

গত মঙ্গলবার ‘খাদ্য সংকটে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষেরা’ শিরোনামে দ্য ডেইলি স্টারে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ত্রাণ পৌঁছাল দুর্গম ওই এলাকায়।  

লামা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত জানান, প্রতিবেদনটি দেখে তারা ওই এলাকার ৪৯টি পরিবারের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছেন।

ইউএনও জানান, ‘আমরা প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি মসুর ডাল ও একটি সাবান পাঠিয়েছি।’ 

‘দুর্গম পাড়ায় পৌঁছানো সত্যিই কঠিন, তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যেন অসহায় কোনো মানুষ এই সঙ্কটে অভুক্ত না থাকেন,’ বলেন তিনি।

কাপ্রু পাড়ার প্রধান (কারবারি) ইন চং ম্রো নিশ্চিত করেছেন যে তারা ত্রাণ পেয়েছেন, তবে ১০ কেজি নয়, ৬ কেজি চাল পেয়েছেন বলে জানান তিনি। 

ত্রাণ পেতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই দুর্যোগের সময় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

পাঠানো চালের পরিমাণের পার্থক্য নিয়ে জানতে চাইলে ইউএনও অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যকে দিয়ে এ ত্রাণ পাঠিয়েছি।‘

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের (বিএইচডিসি) সদস্য সিং ইয়ং ম্রো বলেছেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের কাছে পৌঁছানো সত্যিই কঠিন, তবে আমরা ইতোমধ্যে দুর্গম এলাকার অসহায় পরিবারগুলির তালিকা সংগ্রহ করেছি এবং ত্রাণ বিতরণ করছি।’

দ্য ডেইলি স্টারে সংবাদটি প্রকাশের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বান্দরবান জেলা ইউনিটের সভাপতি কাউসার সোহাগ এবং সহসভাপতি আশীষ বড়ুয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি ভুয়া ও প্রকাশিত ছবিটি ২-৩ বছর আগের পুরনো ছবি বলে বিরূপ মন্তব্য করেন।

অনেকেই তাদের দেয়া পোস্টের মন্তব্যের ঘরে দ্য ডেইলি স্টারের বান্দরবান প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার বড়ুয়াকে প্রকাশ্যে হামলা ও হুমকি দেন।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

BB to adopt more flexible exchange rate to meet IMF conditions

After a months-long stalemate, the Bangladesh Bank (BB) is finally set to adopt a more flexible exchange rate regime to fulfil conditions tied to a $4.7 billion International Monetary Fund (IMF) loan programme, which will likely enable Bangladesh to receive $1.3 billion in the fourth and fifth tranches.

8h ago