লকডাউন শেষে অনিবন্ধিত প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনবে সরকার
দেশে চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটার পর অনিবন্ধিত প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনবে সরকার। এর জন্য বেশ কয়েকটি দেশের সরকার বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আজ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, এই মুহূর্তে যাত্রী চলাচল সীমিত থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।
প্রবাসী অনিবন্ধিত শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা এমন সময় জানানো হলো যখন দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ বিকেল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ২১ জনের মৃত্যুসহ দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ এ।
বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা থাকেন এমন প্রায় সব দেশেই এখন জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। এই দেশগুলোর কয়েকটি এখন দণ্ডিত ও অনিবন্ধিত শ্রমিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। এরই মধ্যে কুয়েত ও বাহরাইন তাদের কারাগার থেকে কয়েক শ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছে। কুয়েত সরকার চায় সেদেশে থাকা অনিবন্ধিত শ্রমিকরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাক। কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে থাকা দুই লাখ বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় ২৫ হাজারই অনিবন্ধিত।
করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে মালদ্বীপ। এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি থাকেন যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অনিবন্ধিত। এমনকি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও অনিবন্ধিত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এই দুই দেশে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যার কয়েক লাখ অনিবন্ধিত।
ইমরান আহমদ বলেন, নাগরিকরা যেখানেই বাস করুক তাদের ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। মহামারির এই সময়টায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণের বিভিন্ন উপায় নিয়ে তাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয়েছে।
প্রয়োজনে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে চাই। লকডাউন শেষ হবার পর এটা করতে হবে। এখন ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলছে। এটা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলে তার পর তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। বিপদে পড়া প্রবাসীদের সহায়তার জন্য কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে আমরা তাদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছি।
Comments