৫০ শতাংশ বেতন ছাড়তে হতে পারে নেইমারকে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট আর্থিক সংকট সামলাতে বেতন কাটার পথ বেছে নিয়েছে ইউরোপের প্রায় সব লিগের সব জায়ান্ট দলই। পুরো ক্লাবের সব খেলোয়াড়দের ১০ থেকে ৭০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার মতো ধনী ক্লাবগুলোও। তবে ফরাসী ক্লাবগুলো ভিন্ন পথে হাঁটছে। আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে কাটা হতে পারে তাদের বেতন-ভাতা। তাতে সবচেয়ে বেশি বেতন ছাড়তে হচ্ছে নেইমারকে। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্পোর্টসভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইএসপিএন।
অনেক দিন থেকেই সব ধরনের ফুটবল স্থগিত থাকায় ইউরোপের ক্লাবগুলোর বাণিজ্যিক আয়ের সমস্ত পথ এখন বন্ধ। শিগগিরই বল মাঠে গড়ানো তো দূরের কথা, মৌসুমই বাতিল হয়ে যাওয়ার পথে। ফ্রান্সের অবস্থা আরও বেশি করুণ। খেলা সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা ক্যানাল প্লাস ও বেইন স্পোর্টস এপ্রিল মাসের টেলিভিশন সত্ত্বের টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইএসপিএনের সূত্র মতে, লিগ ওয়ানের ক্লাবগুলোর আর্থিক ঘাটতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছে ফ্রান্স ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব প্রফেশনাল ফুটবল প্লেয়ার্স (ইউএনএফ)। সেখানেই খেলোয়াড়দের বেতন কাটা কমানোর এ অস্থায়ী চুক্তি করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০ শতাংশ বেতন কাটা হবে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার পাউন্ড বেতন ধারীদের। ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বেতন ধারীদের ৩০ শতাংশ, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ বেতন-ধারীদের ৪০ শতাংশ এবং এক লাখের উপরে যারা বেতন পান তাদের বেতন কাটা হবে ৫০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ বেতনের এ তালিকায় আছেন নেইমার।
মূলত, স্বল্প আয়ের খেলোয়াড় ও অন্যান্য স্টাফ যাতে সম্পূর্ণ বেতন পান। এ জন্যই এ নিয়ম করেছে ফরাসী ফুটবলার ইউনিয়ন। পেশাদার ফুটবলার ইউনিয়নের প্রধান ফিলিপ পেইত বলেছেন, 'আমরা কাউকে জোর করতে পারি না। আমরা জানি অধিকাংশ খেলোয়াড়ই এর বিপক্ষে যাবেন না। আমরা শুধু অনুরোধ করছি যেন তারা এটা মেনে নেন, তাহলে এতে অনেকের চাকরি বাঁচবে। অন্যথায় সবাইকেই এতে ভুগতে হবে।'
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, প্রতি মাসের ৩০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি বেতন পান নেইমার। সতীর্থ এমবাপেও পান মাসিক প্রায় ১৫ লাখ পাউন্ডের মতো। পিএসজির বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই মাসে লাখ পাউন্ডের বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ছাড় দিতে হচ্ছে তাদের খেলোয়াড়দের।
Comments