আইপিএল নিয়ে ভাবারই পরিস্থিতি নেই: সৌরভ

sourav ganguly

মার্চের শেষ দিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। করোনাভাইরাসের থাবায় সেটা অনুমিতভাবেই পিছিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বাণিজ্যিকভাবে সফল এই টুর্নামেন্টটি দর্শকবিহীন মাঠে আয়োজন করা যায় কি-না, এমন গুঞ্জনও রয়েছে। কিন্তু বোর্ড প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি আপাতত এমন কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না। আইপিএল হওয়া-না হওয়া নিয়ে ভাবারই কোনো পরিস্থিতি দেখছেন না তিনি।

উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজ স্থগিত হয়েছে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সব আসরই করোনার ধাক্কায় পিছিয়ে গেছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কিন্তু আইপিএল করা নিয়ে বড় এক চাপ আছে নানা পক্ষের। বিশাল রুটি-রুজির ক্ষেত্র হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়দেরও আগ্রহ অনেক।

পিছিয়ে দিয়ে হলেও চলতি বছর আইপিএল করার পক্ষে মত অনেকের। তবে কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ জানান, বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই অনিশ্চয়তায় ঢাকা যে, আইপিএল নিয়ে আলাপেরই কিছু দেখছেন না তিনি, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আইপিএল নিয়ে ভাবাও সম্ভব হচ্ছে না। কী করে ভাবব? কোনো দেশে ফ্লাইট উড়ছে না, কোথাও কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না, কত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে, ভবিষ্যতে কার কী হবে, কেউ জানে না। প্রত্যেকটা দেশের সীমান্ত বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে যে আইপিএল নিয়ে মিটিং করব, আলোচনাটা কী করব? কিছুই তো ঠিক নেই। আগে তো প্রাণ বাঁচুক, তার পরে না হয় দেখা যাবে আইপিএল হবে কি হবে না।’

করোনার থাবায় ভারতে ২১ দিনের লকডাউন আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে দেশে এই লকডাউন যে আসলে কবে শেষ হবে, কেউ বলতে পারছে না। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক মনে করেন, অন্ধকার যত গাঢ়ই হোক না কেন আলো ঠিকই আসবে, ‘জানি না, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কোনো কিছু নিশ্চিত করে বোঝা যাচ্ছে না। সবাই তো দেখছি বলছে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। তবে আমি একটাই কথা বলব, এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, আমি সব সময় বিশ্বাস করেছি, অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে শেষে গিয়ে ঠিকই আলোর দেখা পাওয়া যায়। একটা কথা আছে না, লাইট অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য টানেল, সেটা তো ঠিকই। পৃথিবী ঠিক আলোর খোঁজ পাবে। গুড উইল হ্যাপেন এগেইন। আবার সুদিন ফিরবেই।’

সুদিন ফেরানোর জন্য অবশ্য কাজে লেগে গেছেন সৌরভ। ৫০ লক্ষ টাকার চাল দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন ১০ হাজার অভাবী মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। তিনি মনে করেন, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই আসল সময়, ‘এ রকম কঠিন একটা সময়ে আমি কী কী করছি, সেটা বড় কথা নয়। সে সব নিয়ে আমি বলতেও চাই না। একটাই কথা বলব। সমাজের কাজে আসার জন্য, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এটাই তো সময়। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজের মতো করে সেই দায়িত্ব পালন করা।’

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

4h ago