১২০ পরিবার লকডাউন

করোনায় আক্রান্ত জেনে ফোনও বন্ধ করে ফেলে যুবক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসতে পারে সন্দেহে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ১২০টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসতে পারে সন্দেহে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ১২০টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত আমাদের জানা ছিল, টাঙ্গাইল জেলায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, টাঙ্গাইলে দুই জন করোনায় আক্রান্ত রোগী আছেন। আইইডিসিআর’র সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা তথ্যের সত্যতা যাচাই করি।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘আক্রান্ত যুবক ঢাকায় জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকরা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ পাঠিয়ে দেন। সে সময় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। ওই যুবক সেখানে না গিয়ে গত ৭ এপ্রিল বাড়িতে চলে আসেন। কোভিড-১৯ পজিটিভ জানার পরে তিনি মোবাইল ফোনও বন্ধ করে ফেলেন।’

‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গত রাতে তাকে খুঁজে বের করা হয়। রাতেই করোনা রোগী বহনের জন্য নির্ধারিত জেলা প্রশাসনের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ওই গ্রামের ১২০টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। তিনি কোথায় কোথায় গিয়ে থাকতে পারেন আমরা সেই তথ্য সংগ্রহ করছি’— বলেন ডা. মো. ওয়াহেদুজ্জামান।

Comments