ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে মিনিস্টার, পরীক্ষা শেষে সরকারকে হস্তান্তর

Ventilator-1.jpg
মিনিস্টারের তৈরি ভেন্টিলেটর। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর (কৃত্রিমভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার যন্ত্র) তৈরি করেছে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেড। আজ শনিবার রাজধানীর দুটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

মাইওয়ান ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এম এ রাজ্জাক খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) ভেন্টিলেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এই পরিচালক বলেন, ‘আজকের মধ্যেই আমরা এই দুটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরগুলো পাঠাব। তারা পরীক্ষা করে কোনো পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। পরে অনুমোদনের জন্য সেগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহায়তায় মিনিস্টার এই ভেন্টিলেটরের নকশা প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের কাছ থেকে ভেন্টিলেটরের পেটেন্ট, নকশা ও সোর্স কোড গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ (পলক)।

এম এ রাজ্জাক খান জানান, সরকার এ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নকশার অনুমোদন দিতে পারে বলে আশা করছেন তারা। তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকেই তারা উৎপাদনে যাবেন।

ভেন্টিলেটরের দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১০০ ভেন্টিলেটর তৈরি সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে কাঁচামাল প্রাপ্তির ওপর।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ২৫০টি (সরকারি হাসপাতালে ৫০০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭৫০টি) ভেন্টিলেটর রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

12h ago