অধিনায়ক থেকে খেলোয়াড়ে রূপান্তর হওয়া কঠিন, বললেন হোল্ডার
সবশেষ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স ছিল ভয়াবহ রকমের বাজে। স্বাভাবিকভাবেই দলের ব্যর্থতার দায়ভারের বড় একটা অংশ কাঁধে নিতে হয়েছিল জেসন হোল্ডারকে। পরে হঠাৎ করেই সাদা বলের সংস্করণে নেতৃত্ব হারান তিনি। কিন্তু নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নেওয়ার পথটা সহজ মনে হচ্ছে না এই পেস অলরাউন্ডারের। তার মতে, অধিনায়কত্ব হারানোর পর কেবল খেলোয়াড় হিসেবে অভ্যস্ত হওয়াটা বেশ কঠিন।
ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বসেরাদের গেল আসরে দশ দলের মধ্যে নবম স্থান পেয়েছিল উইন্ডিজ। মাত্র দুটি ম্যাচে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। হোল্ডারের পারফরম্যান্সও ছিল গড়পড়তা। বল হাতে আট ইনিংসে নিয়েছিলেন আট উইকেট। সেই হতাশা ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই দায়িত্ব হারান তিনি। গেল সেপ্টেম্বরে উইন্ডিজের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মনোনীত হন কাইরন পোলার্ড। তবে নতুন দলনেতার অধীনে হোল্ডারের ছন্দে ফেরার কোনো লক্ষণ তো নেই-ই, বরং আরও সাদামাটা হয়ে পড়েছেন তিনি।
সবশেষ ১০ ওয়ানডেতে মাত্র ৭ উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার। গড় ৬৯.৮৫ ও স্ট্রাইক রেট ৭৫.৪। আর পোলার্ডের নেতৃত্বে ৮ ওয়ানডে খেলে ৬৬.১৬ গড় ও ৭৫ স্ট্রাইক রেটে তার শিকার ৬ উইকেট।
সম্প্রতি টকস্পোর্টসের ক্রিকেট কালেক্টিভ পডকাস্টে উইন্ডিজ টেস্ট অধিনায়ক হোল্ডার বলেছেন, কেবল খেলোয়াড় হিসেবে অভ্যস্ত হতে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে, ‘সত্যি কথা বলতে, কেবল একজন খেলোয়াড় হিসেবে মানিয়ে নেওয়াটা বেশ কঠিন হচ্ছে। কীভাবে শুধু একজন খেলোয়াড় হিসেবে অভ্যস্ত হতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করাটা বেশ কঠিন।’
লড়াইটা বেশ কঠিন হচ্ছে হোল্ডারের জন্য। তবে হাল ছাড়ছেন না তিনি, ভরসা রাখছেন নিজের সামর্থ্যের ওপর, ‘পারফরম্যান্স অবশ্যই ওরকম মানের হচ্ছে না, যেমনটা সম্ভবত আমি পছন্দ করতাম। কিন্তু আমি হতাশ হচ্ছি না। নিজেকে চাপে ফেলছি না। খুব বেশি চিন্তাও করছি না। কারণ, নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে আমি জানি। আমি জানি, আমি কী করতে পারি। আমি শুধু এটা জানি যে, একটা ভালো ইনিংস, একটা দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনী খুব কাছেই রয়েছে।’
Comments