শিরোপা জয়ে কেন ব্যর্থ কোহলিরা, জানালেন শোয়েব
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বসেরা। গেল কয়েক বছর ধরে বোলিং বিভাগেও সামর্থ্য দেখাতে শুরু করেছে তারা। কিন্তু ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। শক্তিশালী দল নিয়েও কেন ব্যর্থ হচ্ছেন বিরাট কোহলিরা? কারণ অনুসন্ধান করে পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার বলেছেন, ভারতীয় মিডল অর্ডারে যুবরাজ সিং বা মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ম্যাচ উইনারের ঘাটতি রয়েছে।
ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। ২৮ বছর পর দেশকে বিশ্বসেরা বানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন যুবরাজ। ব্যাটে-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জিতেছিলেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। আর ওই আসরে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে খেলেছিলেন মহাকাব্যিক এক ইনিংস। পরবর্তীতে ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। কিন্তু যুবরাজ অবসরে গেছেন অনেক দিন হলো। আর ধোনিও নিজের সেরা সময়টা ফেলে এসেছেন অনেক পেছনে।
শেষবার বড় কোনো আসরে শিরোপা জেতার পর আরও পাঁচটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় খেলেছে ভারত। কিন্তু উৎসব করা হয়নি তাদের। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে কোহলিরা বিদায় নেন সেমিফাইনাল থেকে।
ক্রিকেটের সব সংস্করণের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও শিরোপা জয়ে ভারতের ব্যর্থতা নিয়ে শনিবার শোয়েব বলেছেন, ‘কোনো প্রতিযোগিতায় এক বিষয়, আর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ থাকা ভিন্ন বিষয়। ভারত আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল। অন্য সংস্করণেও তারা সেরা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে। তাই কেবলমাত্র আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থতা দিয়ে তাদেরকে মূল্যায়ন করা উচিত হবে না।’
পাকিস্তানে থেকেই ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘তবে তাদের আইসিসি ইভেন্ট জেতা উচিত এবং তাদেরকে আসলে জিততে হবে। যখন তাদের ব্যাটিং লাইনআপের ওপরের দিকের চারজন রান পায়, তখন প্রায় সবসময়ই তারা জেতে। কিন্তু তারা রান না পেলে, সমস্যা দাঁড়িয়ে যায়। আর আমি যেটা লক্ষ্য করেছি, মিডল অর্ডারে যুবরাজ বা ধোনির মতো ম্যাচ উইনার দরকার।… এই মুহূর্তে তাদের সমস্যা হলো ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার মতো ব্যাটসম্যানের ঘাটতি।’
Comments