ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজন করোনা আক্রান্ত ছিলেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের প্রবাসী ও আখাউরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নারী দুজনই করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ ও নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায়।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘গত ৯ এপ্রিল ভোররাতে ৪০ বছর বয়সী এক নারী মারা যান। নারায়ণগঞ্জে বসবাস করা ওই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ৮-১০ দিন আগে আখাউড়া উপজেলার রাণীখার গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন। মারা যাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।’
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, ‘পুরো গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার প্রতিবেশীসহ ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানিয়েছেন, ‘গত ৭ এপ্রিল শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া নাসিরনগর উপজেলার ৩৫ বছর বয়সী মালয়েশিয়া প্রবাসীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। গত ১৮ মার্চ তিনি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ১ এপ্রিল তার কোয়ারেন্টিন শেষ হয়। এরপর তিনি একই উপজেলার অন্য গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। সেখানে ৪ এপ্রিল তিনি অসুস্থতা বোধ করেন।’
ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ওই যুবকের টাইফয়েড ধরা পড়ে। গত ৭ এপ্রিল রাতে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্বজনরা ওই যুবককে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তার স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে রেখেই চলে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফন করে। এর আগে করোনা সন্দেহে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
৮ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন ওই প্রবাসীর গ্রামের বাড়ি ও তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করে দেয়।
ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা দেওয়া নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসক ও স্থানীয় এক ফার্মেসি মালিককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. অভিজিৎ।
Comments