সুনামগঞ্জে করোনা আক্রান্ত নারীর সাধারণ উপসর্গ ছিল না
সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া সুনামগঞ্জের নারীর মধ্যে করোনার টিপিক্যাল বা সাধারণ উপসর্গ ছিল না বরং করোনার এটিপিক্যাল বা বিরল উপসর্গ ছিল।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, করোনার সাধারণ উপসর্গ কাশি, হাঁচি বা জ্বর নয় বরং আক্রান্ত ওই নারীর ডায়রিয়া ও ওরাল রুট ইনফেকশনের মতো বিরল উপসর্গ ছিল।
ওই নারীর সংস্পর্শে আসা দুটি হাসপাতালের মোট ৪৯ জন ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ এবং তার পরিবারের ৫ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার আদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে দুই হাসপাতালের মোট ১৩ জন ডাক্তার-নার্স এবং পরিবারের ৫ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গত ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড হয়ে সিলেট হাসপাতালে আনা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় তার সন্তান ডেলিভারি হয়। এর ৩ দিনের মাথায় আজ করোনাভাইরাস পজিটিভি শনাক্ত হলেন তিনি।
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘করোনার বিরল উপসর্গের কারণে সাসপিশনে থাকায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অন্য রোগীদের থেকে তাকে আলাদা করে রাখা হয় এবং সিজারিয়ান সেকশনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে করা হয়। এরপর অপারেশন থিয়েটার এবং গাইনী ওয়ার্ড নিয়মানুযায়ী ডিসইনফেক্ট করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সনাক্তের পরপর আজ সকালেই তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে এবং তার সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।’
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন জানান, তার স্বামীসহ পরিবারের ৫ সদস্যের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদেরকে বাসায় সর্বোচ্চ কোয়ারেন্টিন মেনে চলার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই নারীর স্বামী সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করছে সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ।
Comments