ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: সন্তানদের সঙ্গে আরও ভালো বন্ধন গড়ে তুলুন

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশব্যাপী বন্ধের কারণে শিশুদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ হয়ে পরেছে নিজেদের বাড়ির মধ্যেই। তাদের দৈনন্দিন রুটিন হঠাৎ পুরোপুরি বদলে গেছে।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশব্যাপী বন্ধের কারণে শিশুদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ হয়ে পরেছে নিজেদের বাড়ির মধ্যেই। তাদের দৈনন্দিন রুটিন হঠাৎ পুরোপুরি বদলে গেছে।

শিশুদের কাছে এভাবে ঘরে থাকাটা অস্থিরতার কারণ হতে পারে। হঠাৎ করেই তারা তাদের সহপাঠী এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না। এর কারণে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি থেকে শিশুদের বাঁচাতে তাদের বাড়ির ভিতরে রাখা অভিভাবকদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সঙ্কটকালীন সময়ে অভিভাবকদের ধৈর্যশীল হয়ে তাদের সন্তানদের সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাড়িতে থাকার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।

একজন চিকিৎসক তানজিন জাহান বলেন, ‘শিশুদের বলুন যে পরিবেশে কিছু নতুন জীবাণু পাওয়া গেছে। আমাদের ঘরে থাকতে হবে এবং তোমাদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তিনি শিশুদের মজার ছলে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার এবং সঠিকভাবে হাত ধোয়ার কৌশল শেখাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হাত ধোওয়ার সময় দুবার শুভ জন্মদিনের গানটি গাইতে পারেন। যখন গান গাওয়া শেষ হয়ে যাবে, তখন হাত ধোয়াও শেষ হয়ে যাবে।’

তানজিন জানান, এখন স্কুল নেই, তাই শিশুদের কোনো নির্ধারিত সময়সূচী নেই। কিন্তু, অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের যতটা সম্ভব নিয়মিত রুটিনের মধ্যে রাখা। পড়া, খেলা, টিভি দেখা ইত্যাদির জন্য একটি নতুন রুটিন তৈরি করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা কলার জন্য একটা সময় রাখুন। রূপকথার গল্প থেকে শুরু করে কোভিড-১৯, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করুন তাদের সঙ্গে। শিশুরা সবসময় তাদের অভিভাবকদের কথা থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন খুঁজে বের করে। তাই আলোচনার অভিভাবকদের যত্নবান হওয়া উচিত।’

তানজিন জাহান বাচ্চাদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এই বন্ধের সময়টি শিশুদের আরও কাছাকাছি যাওয়ার এবং তাদের আরও বোঝার এক সুবর্ণ সুযোগ।

তিনি বলেন, ‘সন্তানদের সঙ্গে আপনি যতটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবেন ততই তাদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ সহজ হবে।’

আরও পড়ুন: ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: ভার্চুয়ালের গুণাবলী

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

7h ago