শচীনের চেয়ে লারার বিপক্ষে বল করা কঠিন: ম্যাকগ্রা
কে সেরা? ব্রায়ান লারা না-কি শচীন টেন্ডুলকার? এক সময় ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চর্চা হতো এই প্রশ্ন নিয়ে। দুজনের বিপক্ষেই তাদের সেরা সময়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইতিহাসের আরেক কিংবদন্তি তারকা গ্লেন ম্যাকগ্রার। টানা তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার জানিয়েছেন, ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র খ্যাত লারার বিপক্ষে বল করা একটু বেশি কঠিন ছিল।
নব্বইয়ের দশকে ও নতুন শতাব্দীর শুরুর দশকে ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান লারা ও ভারতের সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান শচীন। কেবল তা-ই নয়, ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে তাদের নাম। ১৪ বছরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রতিপক্ষ হিসেবে দুজনকেই পেয়েছেন ম্যাকগ্রা। ইতিহাসের সফলতম পেসারের বিশ্লেষণ করার সুযোগ হয়েছে লারা ও শচীনের ব্যাটিংয়ের শক্তি-দুর্বলতার দিকগুলোকে।
বুধবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি ধারাবাহিক আয়োজনে ম্যাকগ্রার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, কার বিপক্ষে বল করা বেশি কঠিন ছিল? উত্তরে ৯৪৯টি আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়া পেসার বলেছেন, ‘(এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া) বেশ কঠিন। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বললে, আমি লারাকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রাখব।’
ক্যারিয়ারে অন্য অনেক কীর্তি গড়ার মতো একবার হ্যাটট্রিক করার স্বাদও নিয়েছেন ম্যাকগ্রা। ২০০০ সালে ঘরের মাঠে পার্থ টেস্টে তিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন উইন্ডিজকে। টানা তিন বলে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন শেরউইন ক্যাম্পবেল, লারা ও জিমি অ্যাডামসকে। তবে স্বপ্নের হ্যাটট্রিকের কথা জানাতে গিয়ে লারার সঙ্গে সেই সময়ের আরও দুই সেরা ব্যাটসম্যানের নাম উল্লেখ করেছেন ম্যাকগ্রা, ‘ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকার,... (একটু ভেবে) রাহুল দ্রাবিড়।’
ম্যাকগ্রার রেকর্ডের ঝুলি কতটা সমৃদ্ধ তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৭১ উইকেট দখল করার নজিরও তার গড়া। তারপরও নিজের বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিং ভাণ্ডারে কোনো অস্ত্রের ঘাটতি কি কখনও অনুভব করেছেন তিনি? পঞ্চাশ পেরোনো ম্যাকগ্রার কৌতুকপূর্ণ জবাব, ‘হ্যাঁ, ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিবেগের ডেলিভারি।’
Comments