টেস্টিং কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে টেস্টিং কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘টেস্টিংয়ের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এটি চলমান রয়েছে। সমস্যা হলো রোগীরা টেস্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না এবং গোপন করে যায়। ফলে অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এই আচরণ আশঙ্কাজনক।’
‘ইতোমধ্যে ২০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০টি ল্যাব এত সহজে স্থাপিত হয় নাই। আমাদের জানা ছিল না কতগুলো ল্যাব লাগতে পারে। এই ল্যাবগুলো (ল্যাবের মেশিন) অন্য দেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। যেখানে আমদানি বন্ধ ছিল। আমরা বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্নভাবে ল্যাবগুলো স্থাপন করেছি।’
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আহ্বান করবো, বেশি করে টেস্ট করুন, নিজে সুস্থ থাকুন এবং করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দিন। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বেশি সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। লকডাউনকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাট-বাজার, দোকারে ঘোরাফেরা করে আক্রান্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। রিকশা বা অন্যান্য যানবাহন অবাধে চলাফেরা করছে। ত্রাণ বিতরণেও জনগণ আক্রান্ত হচ্ছে। এসব কারণে ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’
পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংকট নেই। আপনারা জানেন পিপিই তৈরি করতে আমরা সময় নিয়েছি, কারণ পিপিইর কাঁচামাল দেশে ছিল না, রপ্তানি বন্ধ ছিল এবং প্রস্তুতকারকও তেমন ছিল না। আমরা আস্তে আস্তে প্রস্তুতকারক সৃষ্টি করেছি এবং আমরা প্রত্যেকদিন এখন প্রায় ১ লাখ পিপিই সারা বাংলাদেশে দিচ্ছি। এই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
Comments