প্রবাস

অস্ট্রেলিয়ায় আঞ্চলিক মিডিয়াকে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর থেকেই সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘এই মহামারিকালে প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া দায়িত্ব সরকারের।’

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর থেকেই সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘এই মহামারিকালে প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া দায়িত্ব সরকারের।’

অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন প্রণোদনার ঘোষণা দিয়ে নাগরিকদের সাহস ও শক্তি দিচ্ছে। সম্প্রতি, সরকার আঞ্চলিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওসহ মিডিয়ার নানা ক্ষেত্রে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ প্রণোদনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

এই প্যাকেজে আঞ্চলিক মিডিয়াগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত হয় ১২৫টি ‘আঞ্চলিক সংবাদপত্র’। কোভিড-১৯ এর কারণে এই পত্রিকাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটি মিডিয়া (এসিএম) এই পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলার একদিন পরই সরকার তাদের সাহায্যে এই প্রণোদনার ঘোষণা দেয়।

এর মধ্যে আঞ্চলিক ও ক্ষুদ্র প্রকাশকদের চাকরি ও উদ্ভাবনী প্যাকেজে বরাদ্দ তহবিল পুনর্নির্ধারণসহ নতুন বরাদ্দ হিসেবে ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।

সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন শাইন এসবিএস মিডিয়াকে বলেন, ‘এই আঞ্চলিক পত্রিকাগুলো আগে থেকেই আর্থিকভাবে দুর্বল ছিল। এখন করোনা মহামারির কারণে আরও বড় ধাক্কা লেগেছে।’

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এবিসি নিউজের প্রতিবেদন বলা হয়, ৪১ মিলিয়ন ডলারের কর ছাড় ও বছরের বাকি সময়ের জন্য কন্টেন্ট কোটাও বাতিল করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় টিভি ও রেডিওগুলো ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক সম্প্রচার করের ওপর শতভাগ ছাড় পাবে। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ছাড় প্রাপ্তির হিসাব শুরু হবে।

অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিকেশনমন্ত্রী পল ফ্লেচার বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ব্রডকাস্টার ও সংবাদপত্রগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে। ফলে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে আমরা নাটক, শিশুতোষ অনুষ্ঠান ও ডকুমেন্টারি কন্টেন্টগুলোর ওপর বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা ও ২০২০ সালের জন্য টেলিভিশন সাবস্ক্রিপশন স্থগিত করেছি।’

এ স্থগিতাদেশ ২০২১ সালেও চলবে কি না সে বিষয়ে চলতি বছরের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সরকার জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল লেবারের ছায়া কমিউনিকেশনমন্ত্রী মিশেল রোনাল্ড বলেছেন, ‘মহামারির আগেই সরকারের উচিত ছিল মিডিয়াগুলোর পাশে দাঁড়ানো। কারণ, জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করতে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিহার্য।’

আকিদুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago