লকডাউন উপেক্ষা করে জানাজায় মানুষের ঢল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে জানাজায় মানুষের ঢল।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বাসিন্দা মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বহু মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামের জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, জানাজা মাদরাসা মাঠ পেরিয়ে সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। 

একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত, অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোক সমাগম। এ ছাড়া, ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছুসংখ্যক পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব যেখানে স্তব্ধ, সেখানে লকডাউন উপেক্ষা করে এমন জনসমাগম ঘটানো অসচেতনতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে মক্কায় মসজিদুল হারাম, মদিনায় মসজিদে নববি, জেরুজালেমে মসজিদুল আকসা বন্ধ, সেখানে দেশের এমন পরিস্থিতিতে জানাজায় বহু মানুষের সমাগম করা মানে হলো করোনাভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানানো।’

তিনি নিজেও আজ বাদ জোহর রাজধানীর বনানীতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘একজন মন্ত্রীর মায়ের জানাজাতেও সরকারি নির্দেশনা মানা হয়েছে। দেশ ও জাতির কল্যাণের কথা চিন্তা করে সেখানে সীমিত লোক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় অংশ নিয়েছেন।’

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন জানাজায় আসে। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে এত সংখ্যক লোক হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছুই করার ছিল না।’

উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মার্কাস পাড়ার নিজ বাসভবনে যুবায়ের আহমেদ আনসারী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা যুবায়ের আহমেদ আনসারী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago