নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

চাষাঢ়ায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক বঙ্গবন্ধু সড়ক অবরোধ করেন। ছবি: স্টার

বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় শহরের চাষাঢ়ায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক বঙ্গবন্ধু সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা অবিলম্বে বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্লোগান দেন। সড়ক অবরোধের কারণে জরুরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর র‌্যাব সদস্যরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

এর আগে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন এসব শ্রমিক।

শ্রমিকের বরাত দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি ও জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সদর উপজেলার টাগারপাড় এলাকার ওই কারখানায় ৩০০ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন শ্রমিকদের জানুয়ারি ও ফেব্রয়ারি মাসের বেতন পাওনা ছিল। পরে বিকেএমইএ, শ্রম অধিদপ্তর, মালিক ও শ্রমিকদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় ৯ মার্চ বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। কিন্তু তা পরিশোধ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে মালিকপক্ষ ৯ এপ্রিল মার্চসহ মোট তিন মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেন। ৯ এপ্রিলও বেতন না দিয়ে তারা আবার ১৬ এপ্রিল তারিখ ঠিক করেন। কিন্তু, ১৬ এপ্রিলও শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়নি। তাই তারা ওইদিনেই কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। যার ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এক হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক অবরোধ করেন।’

এ বিষয়ে জানতে ওই কারখানার চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলেপ উদ্দিন, ‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে র‌্যাব চাষাঢ়ায় টহল দিচ্ছিল। তখন শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদের বুঝিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, আগামীকাল মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago