বয়স নিয়ে খোঁচা দিয়ে আফ্রিদিকে পাল্টা জবাব গম্ভীরের

নিজের আত্মজীবনীতে আফ্রিদি কটাক্ষ করেছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনারকে। গম্ভীরও পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডারকে পাল্টা জবাব দিতে দ্বিধা করেননি।
afridi and gambhir
ছবি: এএফপি

খেলোয়াড়ি দিনগুলো থেকেই ভালো নয় তাদের সম্পর্ক। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পরও অনেকবার তর্কে জড়িয়েছেন দুই সাবেক ক্রিকেটার। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি আর ভারতের গৌতম গম্ভীরের কথা। নতুন করে আবারও কথার লড়াই শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে। নিজের আত্মজীবনীতে আফ্রিদি কটাক্ষ করেছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনারকে। গম্ভীরও পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডারকে পাল্টা জবাব দিতে দ্বিধা করেননি।

গেল বছর এপ্রিলে প্রকাশিত হয় আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’। সেখানে গম্ভীরের সম্পর্কে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন তিনি। আফ্রিদি লিখেছেন, ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যানের ‘বলার মতো কোনো রেকর্ড’ নেই। আর ‘উল্লেখ করার মতো ব্যক্তিত্ব’ না থাকলেও গম্ভীর এমন ‘অ্যাটিটিউড দেখান যেন স্যার ডন ব্র্যাডমান ও জেমস বন্ডের সংমিশ্রণ রয়েছে তার মধ্যে’।

সম্প্রতি আফ্রিদির সেসব তির্যক মন্তব্য নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। আর তা নজরে পড়েছে গম্ভীরের। প্রতিদ্বন্দ্বীকে একহাত নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন গম্ভীর।

টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘যার নিজের বয়সই মনে থাকে না, সে কীভাবে আমার রেকর্ড মনে রাখবে! ঠিক আছে শহিদ আফ্রিদি, আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি: ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান, গম্ভীর ৫৪ বলে ৭৫ রান, আফ্রিদি ১ বলে শূন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো: আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। আর হ্যাঁ, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক ও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে আমার অ্যাটিটিউড রয়েছে।’

উল্লেখ্য, আত্মজীবনীতে আফ্রিদি জানিয়েছেন, তিনি নিজের বয়স কমিয়েছিলেন পাক্কা পাঁচ বছর! পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নথি অনুসারে, তার জন্ম ১৯৮০ সালের ১ মার্চ। কিন্তু আফ্রিদি নিজে লিখেছেন, তার জন্ম আসলে ১৯৭৫ সালে। যদিও মাস, তারিখ কিছু উল্লেখ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago