প্রশিক্ষণ ছাড়াই করোনার নমুনা সংগ্রহ করছেন অফিস সহায়ক

প্রশিক্ষণ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক অফিস সহায়ক করোনার নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
Office assistant Nayan
অফিস সহায়ক নাসির উদ্দিন নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

প্রশিক্ষণ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক অফিস সহায়ক করোনার নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সেই অফিস সহায়কের কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ না থাকার পরও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা নমুনার প্রায় ৮০ শতাংশ তিনিই নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে নমুনা সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

জানা গেছে, আখাউড়া থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে শুরুতে নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. মনির খান। নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তিনি প্রশিক্ষণও নেন। তবে তিনি এক পর্যায়ে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ না করার অভিযোগে নমুনা সংগ্রহ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং অসুস্থতাবোধের কথাও জানান। পরে সংশ্লিষ্টরা ওই টেকনিশিয়ানকে শোকজ করেন।

এরপর গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তার বদলে অফিস সহায়ক নাসির উদ্দিন নয়নকে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাসির উদ্দিন ৮০টির মতো নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তবে এ কাজে ভয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত অন্যরা তাকে কোনো ধরণের সহায়তা করছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অফিস সহায়ক নাসির উদ্দিন নমুনা সংগ্রহ করার জন্য পিপিইসহ আনুষঙ্গিক সব তাকে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘আমি না করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাকে দেখিয়ে দেওয়ার পর থেকে ভালোভাবেই কাজ করছি। আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

অফিস সহায়কের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি শুনে অবাক হয়ে যান আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলবো।’

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুর রহমানের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, ‘টেকনিশিয়ানকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানি। আপাতত তার বদলে অন্য একজনকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি আবারো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘আখাউড়ায় টেকনিশিয়ান আছে কি না জানতে হবে। যদি থাকে তাহলে তো তারই নমুনা সংগ্রহ করার কথা। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

53m ago