শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করে দিতে বলেছেন সাকিব

Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি: খালিদ হুসাইন অয়ন

বকেয়া বেতনের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে আগের দিন বিক্ষোভ করেছেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কাঁকড়া হ্যাচারির শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ ছিল, চার মাস ধরে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে। শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে বলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার।

বর্তমানে সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব। সেখান থেকে মুঠোফোনে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ দিয়েছেন।  দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে এমনটাই জানিয়েছেন ফার্মের আরেক অংশীদার সগীর হোসেন পাভেল, 'এই ঘটনার পর আমি সাকিবের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছি। আমরা আজ ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনায় বসব। সাকিব শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করে দিতে বলেছে, যদিও আমরা আগেই বলেছি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সকল বকেয়া দিয়ে দেওয়া হবে এবং সাকিব এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। গতকাল যা ঘটেছে তা সত্যিই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং আমরা বিস্মিত।'

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ-নীলডুমুর সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাকিবের ফার্মের শ্রমিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল আটটার দিকে বুড়িগোয়ালিনীতে ফার্মের সামনে এক-দুই জন করে প্রায় ২০০ শ্রমিক জড়ো হয়। পরে সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। পরে অবশ্য র‌্যাব এসে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় তাদেরকে সরিয়ে দেন।

তবে শ্রমিকদের সবাই চার মাসের বেতন পাবেন না বলে জানান সগীর, 'দেখেন, আমাদের চালান গত জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে এবং জানুয়ারিতেই আমরা ৮০ শতাংশ শ্রমিকদের বিদায় দিয়েছি এবং সেখানে ২৫০ এর মতো শ্রমিক ছিল। এখানে এখন ৪০ জনের মতো শ্রমিক রয়েছে যারা এখন ফার্মে ছিল যাদের আমরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে ধারাবাহিকভাবে বিদায় দিয়েছি। তাই সব শ্রমিক চার মাসের বেতন পাবে এটা ঠিক না। তারপরও আমরা জানুয়ারিতে বিদায় দেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকের প্রতি আমরা অত্যন্ত নম্র ছিলাম এবং তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা তাদের পাওনা পরিশোধ করতে রাজি ছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে এবং অনেক বিল আটকে আছে।'

শ্রমিকদের বিদায় দেওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছিলেন বলেই দাবি করেন সগীর। সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, 'আমরা শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের সময় দিতে বলেছিলাম। তারপরও আন্দোলনটি গতকাল হয়েছে এবং এটা খুব অপ্রত্যাশিত ছিল। কেবল আমাদের খামারই না, এখন অন্যান্য সমস্ত খামারগুলোও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কেউ পণ্য রফতানি করতে পারছে না।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago