নোয়াখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাহার উদ্দিন (৪৭) নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাহার উদ্দিন (৪৭) নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে শ্রীনন্দি চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছেন, বাহার উদ্দিন, তারেক আমিন জনি, রুবেল হোসেন ও টিপু। গুলিবিদ্ধ বাহারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও দোকানে বাকি নেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাহার উদ্দিন গ্রুপ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আমিন জনি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে স্থানীয় একটি দোকানে পণ্য বিক্রি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় বসতঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা জনি ও শাকিল গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সকালে শ্রীনন্দি চৌরাস্তা দোকান ঘর এলাকায় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে শাকিলের পক্ষের কয়েকজন আমার বাড়ির উপর দিয়ে পালিয়ে যায়। জনি তাদের পেছন থেকে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে আমার বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় জনি ও তার লোকজনকে বাধা দিতে গেলে জনি আমার বাম পায়ে গুলি এবং আমার বসত ঘরে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আমিন জনি পাল্টা দাবি করেন, ‘বাহার ও শাকিলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় তারা আমার স্বজন রুবেল ও টিপুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। বাধা দিতে গেলে বাহার আমার দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে এবং শাকিল আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে বাহারের পায়ে গুলি লাগে।’

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, বাম পায়ের ওপরের অংশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাহার উদ্দিনকে বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago